সংক্ষিপ্ত
দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলে নিরাপত্তার কড়াকড়ি থাকলেও, অপরাধের ঘটনা কম নয়। তেমনই এক মারাত্মক অপরাধ ঘটতে চলেছিল। তবে পুলিশকর্মীরা তৎপর হওয়ায় ঠেকানো গেল অপরাধ।
গাড়ির মধ্যে দুই সন্তানকে রেখে দোকানে গিয়েছিলেন দম্পতি। গাড়ির চাবি নিয়ে যাননি। এমনকী, ইঞ্জিনও বন্ধ করেননি। ওৎ পেতে ছিল চোর। দম্পতিকে অসাবধান দেখেই দুই শিশু-সহ গাড়ি নিয়ে পালাল চোর। পরে ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করল। ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশের দ্বারস্থ হন উদ্বিগ্ন দম্পতি। শুরু হয় তল্লাশি। তিন ঘণ্টা ধরে সিনেমার মতো তল্লাশি চালানোর পর নিরাপদে শিশুদের উদ্ধার করল পুলিশ। অপহরণকারী অবশ্য পালিয়ে গিয়েছে। তবে সে কিছুই নিয়ে যেতে পারেনি। গাড়ির মধ্যে মোবাইল ফোন, গয়না ছিল। সেসবও উদ্ধার করেছে পুলিশ। ফলে স্বস্তিতে ওই দম্পতি। উদ্ধার হওয়ার পর শিশুদেরও আতঙ্ক কেটেছে।
দম্পতির অসাবধানতার ফল?
দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ লক্ষ্মীনগর অঞ্চলে হীরা সুইটসে যায় ওই পরিবার। গাড়ির শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র চালু ছিল। সেই কারণেই ইঞ্জিন চালু রেখে দোকানে যান দম্পতি। গাড়িতে ছিল ১১ বছর ও ২ বছর বয়সের শিশু। দম্পতি ফেরার আগেই গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয় চোর। এরপর ফোন করে সে মুক্তিপণ দাবি করে। পুলিশের দ্বারস্থ হন দম্পতি। রাতেই শুরু হয় উদ্ধারকার্য। ২০টি গাড়ি নিয়ে তল্লাশি চালানোর পর অপহৃত শিশুদের উদ্ধার করে পুলিশ।
অপহরণকারীকে গ্রেফতারের চেষ্টায় পুলিশ
দিল্লির অতিরিক্ত ডিসিপি (পূর্ব) অবিনাশ কুমার জানিয়েছেন, ‘অপহরণকারী বিভিন্ন রাস্তায় গাড়ি ঘোরাচ্ছিল। ও অশোক নগর হয়ে ওয়াজিরাবাদে পৌঁছয়। তারপর আউটার নর্থ ডিস্ট্রিক্টে পৌঁছয়। ও বুঝতে পারছিল পুলিশ তাড়া করছে। এই কারণেই বারবার রাস্তা বদল করছিল। ওর কাছে হাতুড়ি, ছুরি ছিল। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমরা ওর সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা করছি।’
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
Pakistan: ভারতীয়দের অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, তুরস্ক-কম্বোডিয়ায় গ্রেফতার ৫ পাকিস্তানি