সংক্ষিপ্ত

  • সিএএ নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছিল শারজিল ইমাম
  • দিল্লি পুলিশের তদন্তে আগেই এমনটা উঠে এসেছে
  • এবার রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় চার্জশিট গঠন জেএনইউ-এর প্রাক্তনীর বিরুদ্ধে
  • শারজিলের বিরুদ্ধে আগেই একাধিক রাজ্যে এফআইআর দায়ের


গতবছর ১৫ ডিসেম্বর দিল্লির জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে হিংসা ছড়ানোর মামলায় পুলিশ আগেই গ্রেফতার করেছিল জেএনইউ-এর ছাত্র শারজিল ইমামকে। এবার তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করল দিল্লি পুলিশ। চার্জশিটে দিল্লি পুলিশ শারজিলকে ইমামকে উস্কানিমূলক ভাষণ, দাঙ্গা ছড়ানো ও দেশবিরোধী ভাষণ দেওয়ায় অভিযুক্ত বানিয়েছে। 

দিল্লির সিএএ বিরোধী শাহিনবাগ আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা শারজিল ইমামকে চলতি বছর ২৮ জানুয়ারি বিহার থেকে গ্রেফতার করা হয়। জওহর লাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্ডান ইন্ডিয়ান হিস্ট্রির ছাত্র শারজিল জামিয়া কাণ্ডের আগের দিন সিএএ নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালাতে মসজিদে মসজিদে প্যামফ্লেট বিলি করে বলে অভিযোগ পুলিশের। জানা গিয়েছে, সেই সময়  মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বাবরি মসজিদ ও কাশ্মীর নিয়েও প্যামফ্লেট বিলি করে শারজিল। আন্তর্জাতিক মিডিয়ার নজর কাড়তে দিল্লি জুড়ে ব্যাপক অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা করেছিল সে। অসমে মুসলমানদের আটক করে শিবিরে রাখা হয়েছে এবং তাদের হত্যা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে শারিজল জনতাকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টাও করছিল।

আরও পড়ুন: লকডাউনে রাজস্থানে আটকে পড়েছে পরিবার, ধর্ষণের শিকার হলেন দৃষ্টিহীন ব্যাঙ্ক আধিকারিক

এই ঘটনায় সেই সময় অসময় সরকার তার বিরুদ্ধে সবার প্রথমে মামলা করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়োর ভিত্তিতে  সারজিল ইমামের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করার অভিযোগ এনে মামলা করে করা হয়। তখন  পাঁচ রাজ্যের পুলিশ খুঁজছিল তাঁকে। এরপর বিহারে জেহানাবাদ থেকে গ্রেফতারের পর শারজিলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। শারজিলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪ এ, ১৫৩ এ ও ৫০৫ ধারায় প্ররোচনামূলক বক্তব্য ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ ছড়ানোর অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলা রুজু হয়।

আরও পড়ুন: ভারতীয় নৌবাহিনীর অন্দরেও এবার করোনার থাবা, একসঙ্গে আক্রান্ত কমপক্ষে ২০ জন আধিকারিক

দিল্লি পুলিশের অভিযোগ সংশোধিত নাগরিত্ব আইন নিয়ে প্রতিবাদের সময়ে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া এবং উত্তর প্রদেশের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাজনমূলক মন্তব্য করেন তিনি। একটি ভাইরাল ভিডিও সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে শরজিলকে বলতে শোনা যায়, " অসমকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে। যে সরু অংশটায় উত্তর পূর্ব ভারত মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত সেখানে লাখ পাঁচেক মুসলমান ঘাঁটি গেড়ে বসলেই হুঁশ ফিরবে সরকারের।

আরও পড়ুন: করোনা যুদ্ধের সৈনিকদের সঙ্গে পরিচয় করাচ্ছে গুগল, শিক্ষকদের ধন্যবাদ জানিয়ে এল বিশেষ ডুডল

শারজিলের প্যামফ্লেট বিলির পরদিন দিল্লিতে সিএএ বিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। এই বিক্ষোভকে ছত্রভঙ্গ করতে  জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পড়ে দিল্লির পুলিশ বাহিনী। অভিযোগ, পুলিশ বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে ও লাঠি চার্জ করে। তার আগে সরাই জুলেইনা ও মথুরা রোডে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল।