দীপাবলির রাতে দিল্লিতে হাড়হিম করা দুটি ঘটনা। একটি শব্দবাজি ফাটানোর প্রতিবাদ করায় এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুন করা হয়। অন্যদিকে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে ৭১২ বছরের দাদুকে গুলি করে খুনের চেষ্টা করল নাতিরা।
দীপাবলির রাতে দিল্লিতে হাড়হিম করা দুটি ঘটনা। একটি শব্দবাজি ফাটানোর প্রতিবাদ করায় এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুন করা হয়। অন্যদিকে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে ৭১২ বছরের দাদুকে গুলি করে খুনের চেষ্টা করল নাতিরা। দুটি ঘটনার তদন্ত করছে দিল্লি পুলিশ।
দাদুকে গুলি!
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে তুর্কম্যান গেট এলাকায় দীর্ঘদিনের সম্পত্তি বিবাদের জেরে নাতিদের গুলিতে ৭২ বছর বয়সী এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। চাঁদনী মহল থানায় এই গুলি চালানোর ঘটনার খবর জানানো হয়। আধিকারিকরা নিশ্চিত করেছেন যে, শাহাবুদ্দিন নামের ওই ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন এবং তাকে এলএনজেপি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানানো হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে, ওই ব্যক্তি তার ছেলে এবং নাতিদের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদে জড়িয়ে ছিলেন। পুলিশ খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করেছে এবং অভিযুক্তদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
শব্দবাদি ফাটানোর প্রতিবাদে খুন!
এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, শাহবাদ ডেয়রিতে বাজি ফাটানো নিয়ে বিবাদের জেরে এক ব্যক্তিকে তার বাড়ির বাইরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে ২০-২১ অক্টোবরের মধ্যবর্তী রাতে, ১২টা বেজে ২২ মিনিটে ঘটে। যখন শাহবাদ ডেইরি থানায় এই হামলার খবর আসে। সিকান্দার সিং-এর ছেলে সিতাম্বর প্রসাদ ওরফে দিলীপকে রাস্তার উপর বুকের ডানদিকে ছুরির আঘাতসহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ জানিয়েছে, "অভিযোগ, তিন-চারজন তাকে আক্রমণ করে এবং তাদের মধ্যে একজন তাকে বাড়ির বাইরে ছুরি মারে। অভিযুক্তরা তার ভাই দীপক ও সন্দীপকেও মারধর করে।"
তদন্তে আরও জানা যায়, ঘটনার প্রায় এক ঘণ্টা আগে বাজি ফাটানোর সময় গালিগালাজ করা নিয়ে সন্দীপ, তার ছোট ভাই এবং অভিযুক্তদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। দীপক প্রসাদের বয়ানের ভিত্তিতে, এফআইআর নং ৭৩৯/২৫ এবং বিএনএস-এর ১০৩(১)/৩(৫) ধারায় (খুনের শাস্তি) একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।
তদন্ত চলাকালীন, পুলিশ সাক্ষীদের বয়ান রেকর্ড করেছে এবং আশেপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করেছে। পলাতক অভিযুক্তদের খুঁজে বের করতে প্রযুক্তিগত নজরদারি শুরু করা হয়েছে। ম্যানুয়াল প্রচেষ্টা এবং প্রযুক্তিগত নজরদারির ভিত্তিতে, পুলিশ দল অভিযুক্তদের ধরতে সফল হয়েছে: ধীরাজ (২৪), শাহবাদ ডেইরির বাসিন্দা; আকাশ ওরফে বাবা (২৪), শাহবাদ ডেইরির বাসিন্দা; এবং তরুণ (২২), অশোক বিহারের ইন্দ্রপ্রস্থ কলোনির বাসিন্দা। চতুর্থ অভিযুক্ত অজয় ওরফে আলিকে ধরার জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে। মামলার আরও তদন্ত চলছে।


