সংক্ষিপ্ত
- হাড় কাঁপানো ঠান্ডা রাজধানীতে
- সোমবার ছিল সবচেয়ে শীতলতম দিন
- ১৯০১ সালের পর এত শীতল ডিসেম্বর দেখেনি দিল্লিবাসী
- কুয়াশার জেরে বিপর্যস্ত ট্রেন ও বিমান পরিষেবা
চিত্রটা বদলালো না সোমবারও। রাজধানীর দিল্লির দিন শুরু হল ঘন কুয়াশার চাদরে। এদিন দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিক তাপমাত্রার যা অর্দ্ধেক। এই মরশুমে সোমবারই ছিল দিল্লির সবচেয়ে শীতলতম দিন।
আরও পড়ুন: বর্ষবরণে তিলোত্তমায় থাকছে না বৃষ্টির ভ্রুকুটি, আশার খবর শোনাচ্ছে হাওয়া অফিস
গত দুই সপ্তাহ ধরে টানা শৈত্যপ্রবাহ চলছে রাজধানীতে। ১৯০১ সালের পর এত শীতল ডিসেম্বর দেখেনি দিল্লিবাসী। এই মরশুমে সোমবারই রাজধানীর পারদ নেমেছে সবচেয়ে নীচে। এদিন আয়ানগরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পালামে ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং লোদিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত ২২ বছরে এত হাড় কাঁপানো ঠান্ডা দেখেনি রাজধানীর বাসিন্দারা। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গত কয়েকদিন হল ঘোরেফরা করছে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে। গত ১৪ ডিসেম্বর থেকে চলছে এমন পরিস্থিতি।
আরও দেখুন: প্রতিবাদের এক দশক, দেখে নিন এক নজরে
ঠান্ডার পাশাপাশি দিল্লি মুড়েছে ঘন কুয়াশার চাদরে। সফদরজং এবং পালামে সকাল সাড়ে আটটায় দৃশ্যমানতা ছিল শূন্য মিটার। যার জেরে ১৬টি বিমানের সময় পরিবর্তন করতে হয়েছে দিল্লি বিমানবন্দরে। বাতিল করতে হয়েছে ৪টি বিমান। তবে কনকনে ঠান্ডা পড়লেও দিল্লিতে বায়ু দূষণের মাত্রা কমেনি।
সোমবার সকালেই গ্রেটার নয়ডা এলাকায় কুয়াশার জেরে খাদে পড়ে যায় একটি গাড়ি। মৃত্যু হয় দুই নাবালক সহ ছয় জনের। আহত হন আরও পাঁচ জন। ঘন কুয়াশার জেরে ট্রেন পরিষেবাও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে রাজধানীতে।