৩ ঘণ্টা আর ৩টি ঘটনা! দিল্লির লালকেল্লা বিস্ফোরণের তদন্তে চাবিকাঠি এর মধ্যেই
সোমবার সন্ধ্যায় লালকেল্লা চত্বরের কাছে বিস্ফোরণের ঘটনায় দিল্লি পুলিশ এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলি তাদের তদন্তে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দিকে কেন্দ্রীভূত করেছে।

দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তে ৩টি মোড়
সোমবার সন্ধ্যায় লালকেল্লা চত্বরের কাছে বিস্ফোরণের ঘটনায় দিল্লি পুলিশ এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলি তাদের তদন্তে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দিকে কেন্দ্রীভূত করেছে। সূত্রের খবর তদন্তে নেমে তদন্তকারী সংস্থাগুলি তিনটি ঘটনার ওপর ফোকাস করেছে। মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, দিল্লি পুলিশ সন্দেহভাজনের গতিবিধি, ফরিদাবাদের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্দেহভাজন নেটওয়ার্ক এবং ঘটনায় ব্যবহৃত বিস্ফোরকের ধরনের ওপর নজর রাখছে।
তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ৩ ঘণ্টা
দিল্লি পুলিশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তদন্তটি সেই তিন ঘণ্টার সময়কে ঘিরে, যখন বিস্ফোরণে জড়িত i-20 গাড়ির চালক চিকিৎসক উমর তার গাড়িটি লালকেল্লার পার্কিং এলাকায় রেখেছিলেন।
তদন্তকারীরা হুন্ডাই i20 গাড়ির বিষয়ে জানার চেষ্টা করছেন যে, সন্দেহভাজন উমর দুপুর ৩:১৯ থেকে সন্ধ্যা ৬:২২ পর্যন্ত কী করছিলেন, বিশেষ করে তিনি গাড়ির কাছে ছিলেন, কারও সঙ্গে দেখা করেছিলেন, নাকি এলাকাটি পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। উমরের তিন ঘণ্টার গতিবিধির ওপর ফোকাস করেছে তদন্তকারীরা।
৩ ঘণ্টার কার সঙ্গে দেখা করেছিল উমর?
কর্মকর্তারা আরও তদন্ত করছেন যে বিস্ফোরণের আগে তিনি কাছাকাছি রাস্তায় ভিড় জমার জন্য অপেক্ষা করছিলেন কিনা। সূত্র অনুযায়ী, সন্দেহভাজন ব্যক্তি দুপুর ৩:১৯ নাগাদ পার্কিং লটে আসেন এবং সন্ধ্যা ৬:২২-এ চলে যান। পুলিশ বিশ্লেষণ করছে যে এই সময়ে তিনি কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বা অন্য কোনও উৎস থেকে নির্দেশ পেয়েছিলেন কিনা।
কেন ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা?
তদন্তকারীরা আরও প্রশ্ন করছেন যে কেন তিনি প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে একটি উচ্চ-নিরাপত্তা অঞ্চলে ছিলেন। তিনি কোনও লজিস্টিক সহায়তা বা স্লিপার সেলের কাছ থেকে সংকেতের জন্য অপেক্ষা করছিলেন কিনা, সেই সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নজরে ফরিদাবাদ
তদন্তের দ্বিতীয় দিকটি ফরিদাবাদের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাক্তারদের ঘিরে, যাদের নাম তদন্তে উঠে এসেছে। পুলিশ এই সন্দেহভাজন নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত সক্রিয় এবং নিষ্ক্রিয় সদস্যের সংখ্যা তদন্ত করছে, যাদের স্লিপার সেল সংযোগ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র অনুযায়ী, কর্মকর্তারা সন্দেহ করছেন যে দিল্লির বিস্ফোরণ এবং ফরিদাবাদে উদ্ধার হওয়া সামগ্রী আন্তঃরাজ্য সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্কের একটি বড় অংশ হতে পারে।
উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ও বিস্ফোরকের উৎস, সেগুলি আলাদা আলাদাভাবে এসেছিল কিনা এবং কারা তাদের সরবরাহে সহায়তা করেছিল, সেই বিষয়েও সংস্থাগুলি তদন্ত করছে।
সোশ্যাল মিডিয়া ও চক্রীদের নেটওয়ার্ক
কর্মকর্তারা যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত টেলিগ্রাম গ্রুপের অন্য সদস্যদেরও সন্ধান করছেন, এটি কতদিন ধরে সক্রিয় ছিল এবং কারা এটি পরিচালনা করত তা খতিয়ে দেখতে। তদন্তকারীরা আরও জানার চেষ্টা করছেন যে উমর, মুজাম্মিল বা আদিল ব্যক্তিগতভাবে দিল্লিতে নজরদারি চালিয়েছিল নাকি এই কাজের জন্য অন্য কোনও অপারেটরের উপর নির্ভর করেছিল।

