Delhi News: দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের হেনস্থার শিকার হতে হয়। এবার দেশের রাজধানী দিল্লিতে এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনার কথা জানা গেল। স্কুলের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ এই পড়ুয়ার পরিবারের।
KNOW
Delhi School: ‘মা, ভাই, আমাকে ক্ষমা করে দিও। আমি তোমাদের স্বপ্নপূরণ করতে পারলাম না। যাঁদের প্রয়োজন, তাঁদের জন্য আমার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান করে দিও। আমার শেষ ইচ্ছা হল, আমি যেন সুবিচার পাই। অন্য কোনও শিশুর সঙ্গে যেন এরকম না হয়।’ বুধবার মেট্রোরেলের সামনে ঝাঁপ দেওয়ার আগে সুইসাইড মোটে এমনই লিখে গিয়েছে দিল্লির এক স্কুলের ১৬ বছর বয়সি পড়ুয়া। সে সুইসাইড নোটে চরম সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তিন শিক্ষক ও স্কুলের অধ্যক্ষকে দায়ী করেছে। সে শিক্ষকদের নাম জানিয়ে গিয়েছে। এই তিন শিক্ষক ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন ধরেই মানসিক হেনস্থার কথা জানিয়ে গিয়েছে আত্মঘাতী হওয়া পড়ুয়া। এই সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
মারাত্মক অভিযোগ পরিবারের
আত্মঘাতী হওয়া পড়ুয়ার বাবা প্রদীপ পাতিল জানিয়েছেন, ‘আমার ছেলে একটু দুষ্টু প্রকৃতির ছিল। ওর বয়সের অনেক ছেলেই এরকম হয়। আমি ওর শিক্ষকদের বলেছিলাম, ওর বয়সের ছেলের পক্ষে এই ধরনের আচরণ স্বাভাবিক। কিন্তু তারপরেও ওর শিক্ষকরা হেনস্থা করতে থাকেন। মঙ্গলবার স্কুলে নাটকের ক্লাস চলাকালীন ও পা হড়কে পড়ে যায়। ওর চোট লাগে। ও কাঁদতে শুরু করে। সেই সময় ওকে সাহায্য করার বদলে শিক্ষক বলেন, নাটক কোরো না। তাতে কোনও লাভ হবে না। সহপাঠীদের সামনে এই অপমান মেনে নিতে পারেনি আমার ছেলে।’
স্কুল বদলের আগেই অঘটন
প্রদীপ আরও জানিয়েছেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, ছেলের স্কুল বদলে দেব। আমরা ওকে জানিয়েছিলাম, পরীক্ষার আর ১০ দিন বাকি। তারপর ওকে অন্য স্কুলে ভর্তি করা হবে। ও সে কথা শুনে স্বস্তি পায়। কিন্তু তিন দিন আগে এক শিক্ষক ওকে বলেন, ওকে স্কুল থেকে বিতাড়িত করা হবে। সে কথা শুনে ও বিচলিত হয়ে পড়ে।’ স্কুলে ক্রমাগত মানসিক অত্যাচারের শিকার হয়েই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই কিশোর, এমনই অভিযোগ পরিবারের।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

