JU Student Death News: বাড়ি ফেরার পথে চলন্ত থেকে ট্রেন থেকে নদীতে মরণ ঝাঁপ ছাত্রের। তারপর যা হল শিউরে উঠবেন। বিস্তারিত জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন… 

JU Student Death News: ট্রেন থেকে নদীতে মরণ ঝাঁপ, তারপরেই মৃত্যুর কোলে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। মেদিনীপুরের কংসাবতী নদী থেকে উদ্ধার হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার দেহ। মৃতের নাম সোহম পাত্র। বছর কুড়ি বয়সের এই পড়ুয়া তৃতীয় বর্ষের কলা বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তাঁর বাড়ি বাঁকুড়ায়। মায়ের সঙ্গে ট্রেনে করে ফিরছিলেন সোহম। আচমকা ট্রেন থেকেই নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি। কাঁসাই হল্টের কাছে উদ্ধার হয় সোহমের দেহ। মানসিক অবসাদ থেকেই ওই পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

ঠিক কী ঘটেছিল সেই সময়?

পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার মায়ের সঙ্গে হাওড়া-আদ্রা এক্সপ্রেস ধরেবাঁকুড়ার বাড়ি ফিরছিলেন সোহম। ট্রেন মেদিনীপুর স্টেশনে ঢোকার আগে কাসাই হল্টের কাছে গতিবেগ কিছুটা কমে আসে। সেই সময় শৌচালয়ে গিয়েছিলেন সোহমের মা। শৌচালয় থেকে বেরিয়ে তিনি দেখেন ছেলে সিটে নেই।

 সহযাত্রীদের জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা বলেন যে সোহমকে দরজার কাছে যেতে দেখেছেন। এরপর থেকে সোহমের আর কোনও খোঁজ মেলেনি। বুধবার সকালে মেদিনীপুরের কাঁসাই নদী থেকে উদ্ধার হয় সোহমের দেহ। সোহম কোনওভাবে ট্রেন থেকে পড়ে গিয়েছিলেন নাকি তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

মেদিনীপুর স্টেশনে ট্রেন ঢুকতেই সোহমের মা নেমে গোটা বিষয়টি টিকিট পরীক্ষককে জানান। রেল পুলিশকেও জানানো হয় বিষয়টি পুলিশের সন্দেহ হয় যে সোহম ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে থেকে হয়তো টাল সামলাতে না পেরে নদীতে পড়ে যেতে পারেন। তারা তাই রাতেই নদীতে দেহ উদ্ধারে তৎপর হন।বুধবার সকালে কাঁসাই হল্ট এলাকায় ঠিক নিচে সোহমের দেহ ভেসে ওঠে।। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে গুরগুরিপাল থানা এবং খড়গপুর টাউন থানার অধীনে সাদাতপুর ফাঁড়ির পুলিশ। বুধবার সকালে ১১:১৫ মিনিট নাগাদ উদ্ধার হয় সোহমের দেহ। এই ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক মৃত ছাত্রের পরিবার।

জানা গিয়েছে বাঁকুড়ার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি সোহমের। পুলিশ জানিয়েছে দেহ উদ্ধারের পর তা ময়নাতনদের জন্য পাঠানো হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে একটি অস্বাভাবিক মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সোহমের এমন আকস্মিক মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তাঁর মা বাবা। সোহম বিশ্ববিদ্যালয়ও সকলের খুব প্রিয় ছিলেন। কোন রকম র‍্যাগিংয়ের শিকার হননি। তাহলে ছেলে কেমন কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল তাই বুঝতে পারছেন না বাবা-মা। তবে তাদেরও ধারণা, কোনও কারণে মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্থ হয়েছিল সোহম। তার ফলেই আত্মহননের সিদ্ধান্ত।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।