সংক্ষিপ্ত

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দিল্লি পুলিশকে নতুন বছরের প্রথম দিনে মোতায়েন থাকা তিনটি পিসিআর ভ্যানের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদেরও সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছে বলে সূত্রের খবর।

 

দিল্লির কানঝাওয়ালা-কাণ্ডে এবার বড় পদক্ষেপ নিল দিল্লি পুলিশ। অঞ্জলি সিংকে গাড়িতে ধাক্কা দিয়ে সেই সঙ্গে দেহ প্রায় ১২ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত টেনে আনা হয়েছিল। যে রাস্তা দিয়ে আনা হয়েঠিল সেই রাস্তায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ১১জন পুলিশকর্মীকে একসঙ্গে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুম ও পিকেটের রুটে যেসব পুলিশ কর্মীরা দায়িত্বে ছিলে তাদেরই সাসপেন্ড করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দিল্লি পুলিশকে নতুন বছরের প্রথম দিনে মোতায়েন থাকা তিনটি পিসিআর ভ্যানের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদেরও সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। কারণ অঞ্জলি সিং হিট-অ্যান্ড-রান কাণ্ডে দায়িত্বপ্রাপ্ত এই পুলিশ আধিকারিকরা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে ব্যর্থ হয়েছিল। ১১ জনের যে সাসপেন্ড তালিকায় দেওয়া হয়েছে তাতে তিন পুলিশ কর্তার নাম রয়েছে বলেও সূত্রের খবর।

দিল্লির কানঝাওয়ালা হত্যাকাণ্ড রীতিমত ভয়ঙ্কর আর বর্বর। যা নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। ১ জানুয়ারি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিতে কর্মরত অঞ্জলি সিং বাড়ি ফিরছিলেন, সেই সময় তাঁর স্কুটিতে একটি ব্যালেনো গাড়ি ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনায় অঞ্জলির বাম পা গাড়ির সামনের চাকায় আটকে যায়। অঞ্জলি তখনও বেঁচে ছিলেন। কিন্তু গাড়ির চালক ও আরহীরা এতটাই নৃশংস ছিল যে তারা গাড়ি থামিয়ে অঞ্জলিকে বাঁচানোর তাগিদটুকু অনুভব করেনি। এই অবস্থায় রাস্তা দিয়ে পিষে ঘসে অঞ্জলিকে প্রায় ১২ কিলোমিটার পথ নিয়ে এসেছিল। ভয়ঙ্কর মৃত্যুযন্ত্রণা সঙ্গে নিয়ে চলে যেতে হয়েছিল অঞ্জলিকে।

এই ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। কিন্তু সেই রাতে দিল্লির কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে যখন এই ঘটনা ঘটে তখন কোনও পুলিশ কর্মীর দেখা মেলেনি। কন্ট্রোলরুম থেকেও দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি। নির্ভয়াকাণ্ডের পর রাতের দিল্লির নিরাপত্তা বাড়াতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে তা যে রীতিমত ফিঁকে হয়ে গেছে তা আবারও প্রকাশ্যে এসেছে কানঝাওয়ালাকাণ্ডে।

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী অঞ্জলির মস্তিষ্কের মধ্যে স্নায়ী, ঘিলু অনেকাংশে ছিল অনুপস্থিত। শরীর থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল ফুসফুস। প রিপোর্ট অনুযায়ী মাথার খুলের গোড়া ভেঙে গেছে। মস্তিষ্কের কিছু উপাদন অনুপস্থিত ছিল। অঞ্জলি পরিবারের একমাত্র উপর্জনকারী ছিলেন। দুর্ঘটনার কারণে মাথা , মেরুদণ্ডে আর নিম্মাঙ্গে তীব্র আঘাত পেয়েছিলেন তিনি। মৃত্যুর কারণ হিসেবে প্রবল আঘাত আর রক্তক্ষরণের কথাই উল্লেখ রপা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে,সবকটি আঘাত একসঙ্গে পেয়েছিলেন বলেই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে তাঁকে যৌন নিপীড়ন করা হয়নি বলেও দাবি করা হয়েছে রিরোর্ট। কারণ রিপোর্টে যৌন হেনস্থার কথা উল্লেখ করা হয়নি।

আরও পড়ুনঃ

'তাহলে তুই কি জিন ?' জানুন রাহুল গান্ধী সম্পর্কে কেন এই মন্তব্য আসাদুদ্দিন ওয়াইসির

৫১ দিনের সফরে ২৭টি নদী অতিক্রম, ভার্চুয়ালি গঙ্গা বিলাসের উদ্বোধন করে জলপথে জোর মোদীর

মেঘালায়তে তৃণমূলে বড় ধাক্কা, দল ছেড়ে শাসকের সঙ্গে আরও দুই বিধায়ক