সংক্ষিপ্ত
- করোনার নতুন প্রজাতি ডেল্টা প্লাসের খোঁজ মিলেছে দেশে
- তিন রাজ্যে এর দ্বারা ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন আক্রান্ত
- মহারাষ্ট্র, কেরালা ও মধ্যপ্রদেশে এই প্রজাতির খোঁজ মিলেছে
- ডেল্টার থেকে ডেল্টা প্লাস অনেক বেশি ভয়ঙ্কর
করোনার সঙ্গে লড়াই করতে করতেই দেড় বছর কেটে গিয়েছে। তার মধ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় নাজেহাল দেশবাসী। তবে এখন সংক্রমণের পরিমাণ অনেকটাই কম রয়েছে। তাতেও চিন্তা যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। কারণ এই পরিস্থিতির মধ্যেই এবার দেশে আছড়ে পড়তে চলেছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। আর তা নিয়ে ইতিমধ্য়েই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকী, করোনার নতুন প্রজাতি ডেল্টা প্লাসেরও খোঁজ মিলেছে। দেশের তিনটি রাজ্যে এই নতুন প্রজাতির দ্বারা ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের নেপথ্যে ছিল ডেল্টা প্রজাতি। অত্যন্ত দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল ওই সেটি। আক্রান্ত হয়েছিলেন বহু মানুষ। ৩ লক্ষর বেশি মানুষের মৃত্যুও হয়েছে। আর এবার রূপ পরিবর্তন করে ডেল্টা প্লাসে পরিণত হয়েছে করোনার ওই প্রজাতি। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, ডেল্টার থেকে ডেল্টা প্লাস অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। আর ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র, কেরালা ও মধ্যপ্রদেশে এই প্রজাতির খোঁজ মিলেছে।
মহারাষ্ট্র
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে জানিয়েছেন, রাজ্যের প্রায় ২১ জন করোনার এই নতুন প্রজাতির দ্বারা আক্রান্ত। তার মধ্যে ৯ জন জলগাঁও ও মুম্বইয়ে ৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও সিন্ধুদুর্গ, থানেও পালগড়ের বেশ কয়েকজন আক্রান্ত। প্রতিটি জেলার প্রায় ১০০ জনের থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। ১৫ মে থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। তার মধ্যে ২১ জনের শরীরে এই প্রজাতির খোঁজ মিলেছে। সংক্রমণ ঠেকাতে আক্রান্তরা করোনার টিকা নিয়েছেন কিনা বা এর মধ্যে তাঁরা অন্যত্র গিয়েছিলেন কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কেরালা
পালাক্কাড ও পথনামাথ জেলায় বেশ কয়েকজনের শরীরে ডেল্টা প্লাসের অস্তিত্ব মিলেছে। সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য এখন থেকেই ওই এলাকাগুলিতে কড়া পদক্ষেপ করছে কেরালা প্রশাসন। তার মধ্যে পালাক্কাডে দু'জনের শরীরে ও পথনামাথে একজনের শরীরে সংক্রমণ মিলেছে বলে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। তার মধ্যে চার বছরের এক শিশুও রয়েছে বলে জানিয়েছেন পথনামথিতার ডিসট্রিক্ট কালেক্টর নরিমহুগাড়ি টি এল রেড্ডি।
মধ্যপ্রদেশ
দেশের মধ্যে প্রথম ডেল্টা প্লাস প্রজাতির অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল মধ্যপ্রদেশের ভোপালে। সেখানে এই প্রজাতিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৬৫ বছর বসয়ী এক মহিলা। তবে বাড়িতেই আইসোলেশনে ছিলেন তিনি। এমনকী, তাঁকে করোনার দুটি ডোজও দেওয়া হয়। ২৩ মে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এরপর ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোলের তরফে ১৬ জুন বলা হয় যে তিনি করোনার নতুন প্রজাতির দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া এই শিবপুরি জেলার চারজন এই নতুন প্রজাতির দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর ওই চারজনেরই মৃত্যু হয়েছে।
যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, এখনই এই প্রজাতি নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। কারণ ভারতে এর সংক্রমণ অনেকটাই কম। যদিও এইমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, এই প্রজাতি কতটা দ্রুত সংক্রমণ ছড়ায় তা কারও জানা নেই। ফলে এই প্রজাতিকে হালকাভাবে না নেওয়াই ভালো। পাশাপাশি ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যেই দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে বলেও আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন তিনি।