সংক্ষিপ্ত

ব্রাজিলে ক্রমশই জোরালো হচ্ছে প্রেসিডেন্ট লুলা বিরোধী বিক্ষোভ। রবিবার সেদেশের রাজধানী ব্রাজিলিয়াতে রীতিমত তাণ্ডব চালায় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বোলসোনারোর সমর্থররা। তাদের এই আন্দোলনের তীব্র সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

ব্রাজিলের লুলা বিরোধী বিক্ষোভের তীব্র সমালোচনা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার তিনি বলেন, 'গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যকে সকলেরই সমর্থন করা উচিৎ।' একই সঙ্গে প্রাক্তন ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর অনুগামীদের প্রবল তাণ্ডব নিয়েও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মোদী টুইট করে লুলার পাশে থাকার বার্তা দিয়ে বলেন, 'ব্রাসিলিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দাঙ্গা ও ভাঙচুরের খবরে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যকে সকলেরই সম্মান করতে হবে। ব্রাজিলে বর্তমান কর্তৃপক্ষের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।'

ব্রাজিলের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই গোটা দেশ উত্তপ্ত লুলা বিরোধী বিক্ষোভে। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাঁরা বামপন্থী প্রেসিডেন্টকে মেনে নিতে রাজি নন। রবিবার ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাজিলিয়াতে ব্রাজিল কংগ্রেস, সুপ্রিম কোর্ট, রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বোলসোনারোর সমর্থকরা তাণ্ডব চালায়। রবিবার হামলার বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল। যাতে দেখা যাচ্ছে, হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ব্রাজিলের জাতীয় পতাকা নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনেপ দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। নিরাপত্তা রক্ষীদেরসরিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনের মধ্যে প্রবেশ করছে। রাষ্ট্রপতি ভবনের ছাদে উঠে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে অনেক বিক্ষোভকারী।ক্ষোভকারীরা পুলিশ কর্মীদের ওপর চড়াও হয়েছে এমন ছবিও সামনে এসেছে। অন্যদিকে বেশ কটি ভিডিওতে পুলিশ কর্মীরা হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাচ্ছে, তাদের ওপর লাঠি চার্জ করছে এমন ছবিও দেখা গেছে। সকাল থেকে সন্ধ্যের পর্যন্ত প্রবল বিক্ষোভ দেখায় বিক্ষোভকারীরা। যদিও স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর এখনও পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে এজাতীয় তাণ্ডব।

হামলার সময় বর্তমান প্রসেডেন্ট লুলা তিনি দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর আরাকুয়ারায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি অঞ্চল পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন এই ফ্যাসিবাদী ধর্মান্ধরা এমন কিছু করেছে যা দেশ আগে কখনও দেখেনি। পাশাপাশি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন এই ফ্যাসিবাদী ধর্মান্ধরা এমন কিছু করেছে যা দেশ আগে কখনও দেখেনি।

ব্রাজিলের বিক্ষোভ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বোলসোনারো। নির্বাচনের হারের পর থেকেই দেশ ছাড়া তিনি। বর্তমানে রয়েছে ফ্লোরিডায়। কাকতালীয় হলেও সেখানে এখন রয়েছে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিক্ষোভকারীদের দাবি লুলা ৫০.৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। আর বোলসোনারো পেয়েছে ৪৯.১ শতাংশ ভোট। এই নির্বাচনের কারছুপি করেই লুলা জিতেছেন বলেও দাবি তাদের। পুনরায় ব্রাজিলে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বোলসোনারোর সমর্থকরা। যদিও হামলার বিষয় বা নির্বাচন নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি বোলসোনারো। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে।

আরও পড়ুনঃ

লুলা-বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ব্রাজিল, রাষ্ট্রপতি ভবনের ছাদে তাণ্ডব বোলসোনারোর সমর্থকদের

আজ কলকাতায় শুরু হচ্ছে G20 বৈঠক, থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Pravasi Bharatiya Divas: প্রবাসী ভারতীয় দিবসে অনুষ্ঠানে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, কাল শুরু ইন্দোরে