সংক্ষিপ্ত

ই-পেমেন্টের কারণে নগদহীন লেনদেন শুধু সহজই হয়নি, সরকারও সেই টাকার উপরে নজর রাখতে পারছে। যার ফলে কর ফাঁকি দেওয়া দূর হয়ে গিয়েছে। 

কারোর পৌষমাস, কারোর সর্বনাশ। কোভিড ১৯ পরিস্থিতি (digital economy) গোটা বিশ্ব জুড়ে আতঙ্কের বান ডাকলেও, ভারতের ডিজিটাল অর্থনীতিতে(India’s digital economy) অনুঘটকের কাজ করেছে করোনা ভাইরাস (COVID-19 has been a catalyst)। বাড়িতে বসেই অর্থ লেনদেনের সব কাজ সেরে ফেলতে শিখে গিয়েছেন দেশের অর্ধেকের বেশি মানুষ। 

আরও পড়ুন-- পুজোর আগেই বড় উপহার নরেন্দ্র মোদীর, সাধারণ মানুষের জন্য চমক প্রধানমন্ত্রীর

হাইপারলোকাল ডেলিভারিতে খাবার থেকে দৈনন্দিন সামগ্রী কেনা, অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মতো পরিষেবা গ্রহণের জন্য এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকেই (tech-enabled businesses) বেছে নিয়েছে ভারত। ডিজিটাল ভারতকে এক ধাক্কায় অনেকটা সাবালক করেছে কোভিড ১৯ পরিস্থিতি। 

কীভাবে প্রভাব ফেলেছে কোভিড ১৯ পরিস্থিতি

১. অনেকটা বেড়েছে অনলাইন সাবস্ক্রিপশন নেওয়ার হার। একইসঙ্গে বেড়েছে অনলাইন পরিষেবাগুলির সুযোগ সুবিধা ও পরিষেবা দেওয়ার গতি। 

২. কোভিড -১৯য়ের ফলে প্রযুক্তি-সক্ষম ব্যবসাগুলিকে বেছে নিচ্ছেন গ্রাহকরা। এতে বাড়িতে বসেই কাজ হয়ে যাচ্ছে। 

৩. কেবলমাত্র স্টার্টআপ নয় সরকারি পিএলআই স্কিমেও অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছে।

৪. ইলেকট্রনিক্স হার্ডওয়ারের জন্য অনুমোদিত প্রস্তাবগুলি আগামী ৪ বছরে ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্য মাত্রাও নিয়েছে।

৫. দুবছরের মধ্যে ইউনিকর্ন নম্বর দ্বিগুণের বেশি হয়েছে, যেখানে ২০১৯ সালে এর সংখ্যা ছিল মাত্র ২৪, ২০২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩। 

২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ডিজিটাল ইন্ডিয়া চালু করার পর থেকে ভারত ক্রমশই এগিয়ে চলছে। বর্তমানে ভারত রয়েছে ৪৬ তম স্থানে। ২০১৪ সালে ভারতের স্থান ছিল ৬৬তম। সেখানে থেকে কুড়ি ধাপ এগিয়েছে ভারত। ভারতের এই সাফল্য স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের আরও উৎসাহিত করবে। 

আধুনিক, মুক্ত বাজারে ভারতীয় উপভোক্তাদের প্রজন্ম ধীরে ধীরে দেশের উন্নয়নের অভিজ্ঞতা লাভ করেছে। যা অর্থনীতির অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। সমীক্ষা বলছে ভারত আগামী দিনে ট্রিলিয়ন ডলারের ডিজিটাল অর্থনীতি রূপায়িত করার ক্ষেত্রেও মুখ্যভূমিকা গ্রহণ করেবে। 

ভারতে ডিজিটালাইজেশনের মূল লক্ষ্য, বিশেষ গবেষণা, উদ্ভাবনী শক্তি বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় রোডম্যাপ তৈরি করা আর্থিক বরাদ্দ নিয়ে আলোচনা করা। পাশাপাশি ডিজিটাল পণ্যের ব্যবসায়িক স্থায়িত্বকে সুনিশ্চিত করা। মনে করা হচ্ছে আগামী দিনে বেশ কয়েকটি মাইল স্টোন ছুঁয়ে ফেলতে পারবে ভারত। 

আরও পড়ুন - ১০০ টাকা বিনিয়োগে পাঁচ বছরে হাতে ২০ লক্ষ টাকা, মোদী সরকারের দারুণ স্কিম

২০১৬ সালে ইউনিকর্ন নম্বর ছিল ৬। ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৪ গুণ বেড়ে তার সংখ্যা দাঁড়ায় ২৪। ২০১৯ সাল থেকে ইউনিকর্ন নম্বর বাড়ে আড়াই গুণ, ফলে ২০২১ এর সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৩। আশা করা হচ্ছে ২০২৫ সালে এই সংখ্যা আড়াই গুণ বেড়ে ১৫০য়ে পৌঁছবে।

এই গতিকে ত্বরান্বিত করেছে দুটি বিষয়

১. টেলিকম দুনিয়ায় জিও-র প্রবেশ, একবারে মোবাইল ডেটার দাম হ্রাস

২. করোনার প্রথম তরঙ্গের ধাক্কায় ডিজিটাল পরিষেবার ওপর জোর

পরিসংখ্যান বলছে ই-পেমেন্টের কারণে নগদহীন লেনদেন শুধু সহজই হয়নি, সরকারও সেই টাকার উপরে নজর রাখতে পারছে। যার ফলে কর ফাঁকি দেওয়া দূর হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, এর ফলে অনেক বেশি মানুষকে আয়করের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। ফলে সরকারের রাজকোষে টাকা জমা পড়েছে।

"