সিস্টেমটি কয়েক কিলোগ্রাম প্লুটোনিয়াম দ্বারা চালিত একটি রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর (RTG)-এর ওপর নির্ভর করত। যা সীমান্তের ওপর চিনা ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক পরীক্ষাগুলি আড়ি পেতে সেন্সরগুলিকে শক্তি প্রদান করত। 

আবারও আলোচনায় হিমালয়ের বরফে শায়িত ভারতের একটি পারমণাবিক অস্ত্র। সেটি মূলত তৈরি করা হয়েছিল সেই সময় চিনের নবজাত পারমাণবিক ঠান্ডা যুদ্ধের সময় ভারতের গোয়েন্দা ব্যুরো ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ নন্দাদেবীর উপর একটি পারমাণবিক যন্ত্র স্থাপন করেছিল। পারমাণবিক শক্তি চালিত শ্রবণযন্ত্রের মূল কাজ ছিল চিনা পারমাণবিক অস্ত্রের জন্য একটি গোপন অভিযান করা।

ভারতের শক্তি চালিত পারমাণবিক অস্ত্র

এই সিস্টেমটি কয়েক কিলোগ্রাম প্লুটোনিয়াম দ্বারা চালিত একটি রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর (RTG)-এর ওপর নির্ভর করত। যা সীমান্তের ওপর চিনা ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক পরীক্ষাগুলি আড়ি পেতে সেন্সরগুলিকে শক্তি প্রদান করত। কিন্তু ভয়াবহ একটি তুষারঝড়ের কবলে পড়ে সেই পারমাণবিক অস্ত্র। অস্ত্রের দায়িত্বে থাকা যৌথ দলটি পাহাড়ের যন্ত্রটি সেখানে রেখেই পিছু হাঁটতে বাধ্য হয়। শীত কাটলে পর্বত আরোহীদের একটি দল সেই স্থানে গেলেও সেই পারমণাবিক অস্ত্র আর খুঁজে পাননি। বিশেষজ্ঞদের অনেকের অনুমান সেই অস্ত্রটি তুষারধসে ভেসে গিয়েছে, অথবা হিমবাহের গভীরে চাপা পড়ে রয়েছে।

RTG কী?

RTG বা রেডিও আইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনাারেশন, এমন একটি যন্ত্র, যা তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে তাপ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ তৈরি করে। উপাদনটি প্রাকৃতিকভাবে ভেঙে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে তাপ নির্গত করে।

RTG গুলি প্রায়শই মহাকাশ অভিযানে বা দূরবর্তী স্থানে ব্যবহৃত হয় যেখানে সৌরশক্তি ভালোভাবে কাজ করে না। এগুলি খুবই নির্ভরযোগ্য এবং কয়েক দশক ধরে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। RTG কোনও পারমাণবিক বোমা নয় এবং এটি বিস্ফোরিত হতে পারে না। এর প্রধান উদ্বেগ হল উপাদানটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা উন্মুক্ত হলে বিকিরণ সুরক্ষা।

ডিভাইসটি এখন কোথায়?

ঘটনাটি ঘটে ১৯৬৫ সালে। তারপর একাধিকবার ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ডিভাইসটির খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু প্রত্যেকবারই ফিরতে হয়েছে খালিহাতে। অনেকে আবার মনে করে,ভারতীয় সেনা বাহিনীর সদস্যরা চুপচাপ ডিভাইসটি উদ্ধার করেছে। কিন্তু অনেকে আবার মনে করে ডিভাইসটি এখন নন্দাদেবীর বরফের তলায় চাপা পড়ে রয়েছে।

যদিও ভারতের পারমাণবিক শক্তি কমিশন ডিভাইসটির জন্য ১৯৭৮ সালে স্থানীয় নদীগুলিতে একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। কিন্তু সেখানে কোনও প্লোটোনিয়াম দূষণের তথ্য তারা হাতে পায়নি। তবে ডিভাইসটির অবস্থান এখনও নির্ধারণ করা যায়নি।