সংক্ষিপ্ত

দীপাবলির আতশবাজির পর দূষণ ভয়াবহ স্তরে পৌঁছেছে। দেশের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের মধ্যে ৯টিই উত্তরপ্রদেশের। দিল্লির AQI ৪০০ ছাড়িয়ে গেছে।

দেশজুড়ে ধুমধাম করে পালিত দীপাবলির পর এবার প্রকৃতির ফিরতি উপহার হিসেবে এসেছে দূষণ। অত্যধিক আতশবাজির কারণে দেশের বেশিরভাগ শহরে দূষণ চরমে পৌঁছেছে। আতশবাজিতে উত্তরপ্রদেশ সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে। দেশের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের মধ্যে ৯টিই উত্তরপ্রদেশের। ৩৮৮ AQI সহ উত্তরপ্রদেশ শীর্ষে। দেশের রাজধানী দিল্লিতে বৃহস্পতিবার দেরি রাতে AQI ৪০০ ছাড়িয়ে গেছে। যদিও ১ নভেম্বর সকাল ৬টায় দিল্লির AQI ছিল ৩৯১।

কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লির বায়ু বিষাক্ত

দীপাবলির দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৫টায় দিল্লির AQI ছিল ১৮৬। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই সূচক বহুগুণ বেড়ে যায়। দশ-বারো ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লির বায়ু স্বাভাবিক থেকে অত্যন্ত বিষাক্ত হয়ে ওঠে। দিল্লিতে আতশবাজির উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও, সব নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মানুষ জমিয়ে আতশবাজি করেছে এবং এর খেসারত দিতে হচ্ছে পুরো দিল্লিবাসীকে। দিল্লি দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড ১ জানুয়ারী ২০২৫ পর্যন্ত আতশবাজির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

দেশের শীর্ষ ১০ দূষিত শহর

শহর রাজ্য AQI

সাম্বল উত্তরপ্রদেশ ৩৮৮

রামপুর উত্তরপ্রদেশ ৩৮১

নতুন দিল্লি দিল্লি ৩৮৪

মুরাদাবাদ উত্তরপ্রদেশ ৩৪৫

মিরাট উত্তরপ্রদেশ ৩০২

হাপুর উত্তরপ্রদেশ ৩০২

বরেলি উত্তরপ্রদেশ ৩০২

গাজিয়াবাদ উত্তরপ্রদেশ ২৯৭

বদায়ুঁ উত্তরপ্রদেশ ২৯৩

পিলিভিট উত্তরপ্রদেশ ২৯৩

বিঃদ্রঃ এই তথ্য ১ নভেম্বর ২০২৪ সকাল ৬টার।

অনেক রাজ্যে শুধুমাত্র সবুজ আতশবাজির অনুমতি

দীপাবলিকে কেন্দ্র করে অনেক রাজ্যে শুধুমাত্র সবুজ আতশবাজির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। নববর্ষের উদযাপনের জন্যও কিছু রাজ্যে সবুজ আতশবাজির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সবুজ আতশবাজিতে বেরিয়াম সল্ট বা অ্যান্টিমনি, লিথিয়াম, পারদ, আর্সেনিক, সীসা বা স্ট্রন্টিয়াম ক্রোমেটের যৌগ থাকে না। ক্ষতিকারক পদার্থ না থাকায় সবুজ আতশবাজি পরিবেশের তেমন ক্ষতি করে না। তাই যদি রাজ্য প্রশাসন এই আতশবাজির কিছুটা অনুমতি দেয় এবং অন্যান্য সব আতশবাজির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে, তাহলে অনেক ধরনের দূষণজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।