সংক্ষিপ্ত

 ভোপালে হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সদ্যোজাতদের ফেলে নাকি পালিয়ে গিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। এমনই অভিযোগ করেছেন সদ্যোজাতদের পরিবার-পরিজন। কিন্তু, ওই হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক রঘুরাজ সিং রাজপুত-এর কালি মাখা মুখের ছবি নিয়ে হইচই পড়েছে নেট দুনিয়ায়। 

সোমবার রাতের ভোপালের কমলা নেহরু হাসপাতালের (Kamala Nehru Hospital) শিশুদের আইসিইউ (PICU) বিভাগে আগুন লেগে যায়। শিশু বিভাগে তখন অন্তত ৫০ জন শিশু ভর্তি (Admit) ছিল। আগুন লাগার খবরে (Bhopal Hospital Fire) আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাদের পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ২৫টি অগ্নিনির্বাপন ইঞ্জিন। বেশ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে তার আগেই মৃত্যু হয় চার শিশুর।

শিশুদের পরিবারের লোকজন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকেই দায়ি করছেন এই ঘটনায়। তাদের অভিযোগ শিশুদের বিভাগে যখন আগুন লাগে, তখন হাসপাতালের কর্মীরা শুধু নিজেদের প্রাণ বাঁচাতেই ব্যস্ত ছিল, কার্যত ওই বিভাগে শিশুদের আগুনের মুখে ফেলে পালিয়েছিল সবাই। এই কারণেই চার শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তবে এই সব অভিযোগ উড়িয়ে উঠে আসছে একজনের কথা। তিনি ওই হাসপাতালের শিশুবিভাগের আরএমও চিকিৎসক রঘুরাজ সিং রাজপুত। 

আগুন লাগার পর প্রাণপনে একের পর এক শিশুকে বাইরে বের করে এনেছেন তিনি। এই চিকিৎসককে এখন কুর্নিশ করছে গোটা দেশ। তিনি না থাকলে হয়ত আরও কচি প্রাণের বলি দেখত ভোপাল। নিজের জীবন বিপন্ন করে আগুনের মধ্যে থেকে বের করে এনেছেন তিনি শিশুদের। নেটিজেনদের দাবি তিনি কর্তব্যনিষ্ঠতা, সাহস ও লক্ষ্যে অবিচল থাকার আরেক নাম। 

Mamata Banerjee-তেলের দাম বাড়িয়ে ৪লক্ষ কোটি টাকা আয় করেছে কেন্দ্র,দাবি মমতার

Modi in Approval ratings-বিশ্বনেতাদের ব়্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর, জনপ্রিয়তার শীর্ষে মোদী

আরও পড়ুন- Bhopal Hospital Fire-মৃত্যু থেকে বাঁচিয়ে ছিলেন আট শিশুকে,আগুনের গ্রাসে রশিদের নিজের ভাগ্নে

ভোপাল হাসপাতালের ঘটনায় টুইটারে শোক প্রকাশ করেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। শিবরাজ সিং চৌহান লেখেন, ভোপাল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে আগুন লাগার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। খুবই দ্রুততার সঙ্গে উদ্ধারকার্য সম্পন্ন করা হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণেও আনা সম্ভব হয়েছে। অভিযোগ উঠছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির। আগুনে ঝলসে চার শিশুর মৃত্যুর জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করছেন মৃত শিশুদের মা-বাবারা।

প্রত্যেক মৃত শিশুর পরিবারকে চার লক্ষ টাকা করে এককালীন অর্থসাহায্যের ঘোষণা করে মধ্যপ্রদেশ সরকার। ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহান। মূলত হাসপাতালের যে পাশে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে, সেখানে পেডিয়াট্রিক আইসিইউ ছিল। কী ভাবে এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটল তা এখনও স্পষ্ট নয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সে সময় শিশুদের আইসিইউয়ে কমপক্ষে ৪০ শিশু চিকিৎসাধীন ছিল। ৩৬ জনকে উদ্ধার করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া সম্ভব হলেও চার শিশুকে বাঁচানো যায়নি। 
 

YouTube video player