সংক্ষিপ্ত
দ্রৌপদী মূর্মূ-কেই যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী করা হতে পারে তার একটা ইঙ্গিত মিলেছিল। যার জন্য ওড়িশার আদিবাসী সম্প্রদায়ের এই প্রতিনিধির কথা ভেবেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেনি বিজেডি। একটা সময় ওড়িশায় বিজেপি ও বিজেডি জোট সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন দ্রৌপদী।
ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মু বিজেপির রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি সেরা বিধায়কের পুরস্কারও পেয়েছেন। দ্রৌপদী মূর্মূ-কেই যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী করা হতে পারে তার একটা ইঙ্গিত মিলেছিল। যার জন্য ওড়িশার আদিবাসী সম্প্রদায়ের এই প্রতিনিধির কথা ভেবেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেনি বিজেডি। একটা সময় ওড়িশায় বিজেপি ও বিজেডি জোট সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন দ্রৌপদী।
দ্রৌপদী মূর্মূ প্রার্থী হওয়ায় বিরোধী শিবির থেকে বিজেডি-র সমর্থন উঠে যাওয়ার যাবতীয় সম্ভাবনা তৈরি হল বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী শিবিরের প্রার্থী ঠিক করা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বৈঠকে যায়নি বিজেডি। মমতার কাছে বিজেডি-র অনুপস্থিতির কারণ জানতে চাওয়া হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে এখনই কথা বলার মতো কারণ তৈরি হয়নি বলে উত্তর দিয়েছিলেন মমতা। তবে, বিজেডি যে বিবৃতি দিয়েছিল তাতে তারা পরিষ্কার করে দিয়েছিল যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ কাকে প্রার্থী করছে সেটা দেখেই তারা এই নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করবে। বিজেডি সূত্র থেকে খবর ছিল যে ওড়িশার আদিবাসী সম্প্রদায়ের জনপ্রতিনিধি দ্রৌপদী মূর্মূ-কে এনডিএ প্রার্থী করলে তারা সমর্থন দেবে মোদীর দলকেই। ২০০০ সালে ওড়িশাতে জোট সরকার তৈরি করেছিল বিজেপি ও বিজেডি। সেই সরকারের মন্ত্রী ছিলেন দ্রৌপদী। এমন এক পরিস্থিতিতে বিজেডি চাইছে না যে আদিবাসী সম্প্রদায়ের কেউ প্রার্থী হলে তার বিরোধিতা করতে।
বিজেডি-র সমর্থন পেলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন জয়ে বিরোধীদের পিছনে ফেলে দেবে এনডিএ
বিজেডি যদি বিজেপি-র রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রার্থীকে সমর্থন করে তাহলে এনডিএ-র পক্ষে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয় কার্যত নিশ্চিত হয়ে যাবে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটের অঙ্ক যদি দেখা যায় তাহলে দেখা যাচ্ছে মোট ভোটঅঙ্কের সংখ্যা ১০,৭৯,২০৬। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয় পেতে এনডিএ-র চাই ৫,৪০,০০০ ভোট। এরমধ্যে এনডিএ জোটের শীর্ষ দল বিজেপি-র কাছেই রয়েছে ৪,৫৯,৪১৪ ভোট। এছাড়াও এনডিএ-র অন্য দুই বড় শরিক জেডিইউ-এর কাছে রয়েছে ২২,৪৮৫ ভোট এবং এআইডিএমকে-র কাছে রয়েছে ১৫,৮১৬টি ভোট। এই সব ভোট মেলালে এনডিএ-র মোট ভোট দাঁড়ায় ৪,৯৭,৭১৫।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ম্যাজিক ফিগার থেকে মাত্র ৪৩ হাজার ভোটের দূরত্বে দাঁড়িয়ে রয়েছে এনডিএ
এমন এক পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-কে ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে পেতে হবে মাত্র ৪৩ হাজার ভোট। দেখা যাচ্ছে বিজেডি-র কাছে রয়েছে ৩১,৬৮৬ ভোট। এর সঙ্গে যদি ওয়াই এস কংগ্রেসের ভোট পাওয়ারটা একবার দেখে নেওয়া যায়, তাহলে দেখা যাচ্ছে জগনমোহন রেড্ডির দলের কাছে রয়েছে ৪৩,৪৫০ ভোট। সুতরাং দেখাই যাচ্ছে যে বিজেডি এবং ওয়াই এস আর কংগ্রেসের সমর্থন যদি এনডিএ নিতে পারে তাহলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন জয় একশো শতাংশ নিশ্চিত। শুধু দ্রৌপদী মূর্মূকেই যে প্রার্থী করার কথা বিজেপি চিন্তা করছে তা নয়, আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে আরও কিছু নাম জমা পড়েছে। সত্যি সত্যি কোনও আদিবাসীকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী করা হয় তাহলে বিজেপি বিরোধীদের পক্ষে সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা অসম্ভব। ঠিক এই সেন্টিমেন্ট থেকেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ওভার বাউন্ডারি মেরেছে এনডিএ।