সংক্ষিপ্ত

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগামী দিন বিহারের ১২টি জেলায় ইন্টারনেট, মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে বন্ধ থাকবে টেলিফোন পরিষেবাও।

কেন্দ্রীয় সরকারের বিতর্কিত অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে কমবেশি দেশের প্রায় সর্বত্রই প্রতিবাদ বিক্ষোভ হচ্ছে। কিন্তু সবথেকে বেশি আঁচ পড়েছে বিহারে। অন্দোলনের জেরে প্রায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বিহারের সর্বত্র। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগামী দিন বিহারের ১২টি জেলায় ইন্টারনেট, মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে বন্ধ থাকবে টেলিফোন পরিষেবাও। অর্থাৎ যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত  নিয়েছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। 

বিহারের যে জেলাগুলিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ছিন্ন করে দেওযা হয়েছে সেগুলি হল কাইমুর, ভোজপুর, ঔরঙ্গাবাদ, রোহতাস, বক্সার, নওয়াদা, পশ্চিম চম্পারন, সমস্তিপুর, লক্ষীসরাই, বেগুসরাই, বৈশালী এবং সরান। আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত এই সব জেলাগুলির ইন্টারনেট ও টেলিকম পরিষেবা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। 


এর আগেই অবশ্য একই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হরিয়ানা সরকার।  সেখানেই ইন্টারনেট ও এসএমএস পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে হরিয়ানায় এক দিনের জন্য পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। বিহারে তা দুই দিনের জন্য করা হয়েছে। আগামিকাল বিকেলেই হরিয়ানার যোগাযোগ পরিষেবা স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

অন্যদিকে চুক্তির ভিত্তিতে সেনা বাহিনীতে নিয়োগ অর্থাৎ অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে দেশের সর্বত্র বিক্ষোভ হলেও বর্তমানে মোদী সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে সেন্ট্রাল অ্যাসোসিয়েশন অফ প্রাইভেট সিকিউরিটি ইন্ডাস্ট্রি (সিএপিএসআই)। সংস্থার পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে জানান হয়েছে, অগ্নিবীরদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থায় নিয়োগ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে চিঠি লিখেছেন সংস্থার প্রধান কে বিক্রম সিং। সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা প্রচুর পরিমাণে যোগ্য নিরাপত্ত কর্মকর্তার প্রয়োজন রয়েছে। তাই সংস্থার আগামী দিনে অগ্নিবীরদেরই দক্ষতার ভিত্তিতে অফিসার পদে নিয়োগ করবে। তাই অগ্নিবীরদের চার বছর পরেও কাজের তেমন কোনও সমস্যা হবে না বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। 

অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আজ তিন দিন। তৃতীয় দিনেও উত্তপ্ত দেশের প্রত্যন্ত এলাকা। বিহার, উত্তর প্রদেশসহ দেশের বিস্তীর্ণ একায় চলছে চুক্তির মেয়াদে সেনায় ভর্তি নেওয়ার প্রতিবাদ। পশ্চিমবঙ্গেও এই প্রতিবাদ আন্দোলনের আঁচ পড়তে শুরু করেছে। অন্যদিনে শুক্রবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল তেলাঙ্গনা। সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনে দাউ দাউ করে জ্বলছে ট্রেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নামান হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। স্থানীয়দের অভিযোগ বিক্ষোভ থামাতে পুলিশ গুলি চালায়।  এই ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা তিন। 

মাত্র তিন শব্দের ইস্তফাপত্র দেখে চমকে উঠল সোশ্যাল মিডিয়া, আর মুগ্ধ হল ছুটির আবেদন দেখে

অগ্নিপথ বিক্ষোভ- কী কারণে চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভে আগুন জ্বলছে সাত রাজ্যে, জানুন বিস্তারিত
অগ্নিপথ বিরোধী আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ দেশ- তিনটি ট্রেনে আগুন, পুলিশের গুলিতে নিহত ১