সংক্ষিপ্ত

আমফানের বর্তমান গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ থেকে ২৪০ কিলোমিটার
বুধবার স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার
কেন্দ্র সতর্ক করল বাংলা ও ওড়িশাকে
প্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুত করার নির্দেশ 

নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। নিত্য  প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত করে রাখতে হবে। ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গকে এই নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আবহাওয়া  দফতর আমফানের দাপটে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছে এই দুই রাজ্যে। কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা এদিন একটি উচ্চ পর্যারে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই হাজির ছিলেন ন্যাশানাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্টের পদস্থ আধিকারিকরা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয়দের মোবাইল ফোনে সচেতন করা হবে বলেও জানান হয়েছে। 

এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। সেখানেই প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।  

আবহাওয়ার দফত জানাচ্ছে বর্তমানে ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ থেকে ২৪০ কিলোমিটার। এখনও পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার বেগে উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তবে এই গতি আরও বাড়বে বলেও মনে করা হচ্ছে। 

আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানান হয়েছে, ওড়িশার পারাদ্বীপ থেরে ৫২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে সুপার সাইক্লোন আমফান, পশ্চিমবঙ্গের দিঘা উপকূল থেকে মাত্র ৬৭০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। বুধবার বিকেলেই দিঘা থেকে বাংলা দেশের উপকূল হাতিয়াতে আছড়ে পড়তে পারে সুপার সাইক্লোন। সেই সময় ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টা ১৫৫-১৬৫ কিলোমিচার থেকে ১৮৫ কিলোমিটার থাকবে। আবহাওয়াবিদরা  ১৯৯৯ সালের সুপার সাইক্লোনের সঙ্গেই তুলনা করেছেন আমফানের। অনেকেই মনে করছেন প্রায় এক দশক পরে এমন ভয়ঙ্কর ঝড়ের মুখোমুখি হতে চলেছে বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী এলাকা। বাংলা ও ওড়িশা উপকূল নয়। অন্ধ্র প্রদেশের বিশাখাপত্তনম উপকূলেও এই প্রভাব পড়বে। অন্যদিকে আমফানের কারণে কেরলে ভারী বৃষ্টির পূর্বভাস দেওয়া হয়েছে। 

আরও পড়ুনঃ মিনিট খানেকের হাড়হিম করা খুনের ভিডিও, যোগীর রাজ্যে 'বাহুবলী' গুলিতে নিহত বাবা ও ছেলে ...

আরও পড়ুনঃ বঙ্গোপসাগরের সবথেকে শক্তিশালী ঝড় আমফান, আটলান্টিক হ্যারিকেনের চতুর্থ পর্বের সমতুল ...

অন্যদিকে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনের তরফ থেকে জানান হয়েছে আমফান মোকাবিলায় উপকূলবর্তী এলাকার মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। মানা হয়েছে নিরাপদ শারীরিক দূরত্বও। কোয়ারেন্টাই সেন্টারগুলিতেই আশ্রয় দেওয়া হয়েছে স্থানীয়দের। আমফানের কারণে পথ পরিবর্তন করা হয়েছে দিল্লি ও ওড়িশাগামী শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের চলাচল। লকডাউনের কারণে বর্তমানে শুধুমাত্র শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনই চলাচল করছে। 
আরও পড়ুনঃ তাবলিগিদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সিন্ধ প্রদেশের হিন্দুরা, ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ ...