সংক্ষিপ্ত
ভূপৃষ্ঠ থেকে ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ৯৪ কিমি গভীরে। মনিপুরের মইরাং থেকে ৬৬ কিমি পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্বে শনিবার রাত ১১.৪২ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয়।
গভীর রাতে কেঁপে উঠল মণিপুরে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৪.৮। শনিবার রাত পৌনে বারোটা নাগাদ কম্পন অনুভূত হয়। এই তথ্য জানিয়ে নিজেদের অফিশিয়াস পেজে টুইট করেছে ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি বা এনসিএস। এনসিএস জানিয়েছে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ৯৪ কিমি গভীরে। মনিপুরের মইরাং থেকে ৬৬ কিমি পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্বে শনিবার রাত ১১.৪২ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয়।
এর আগে ৫ জুলাই অসমে ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৭। ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ৩৫ কিলোমিটার, যা সকাল ১১টা ০৩ মিনিটে ঘটে। উল্লেখ্য, এনসিএস হ'ল ভারত সরকারের নোডাল এজেন্সি যা দেশে ভূমিকম্পের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করে।
এছাড়া, জানুয়ারি মাসে বিকেল ৩:৪২ মিনিটে কেঁপে ওঠে মিজোরাম। রাজ্যের চামফাই জেলার ৫৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে কেন্দ্রস্থলে কম্পন আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৬ ম্যাগনিটিউড। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি অনুসারে ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ৬০ কিলোমিটার। কোনও বড়সড় ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। মিজোরাম ছাড়াও কম্পন অনুভূত হয় পাশের রাজ্য অসমে। এছাড়াও উত্তর পূর্বের বেশ কিছু রাজ্যে কম্পন বোঝা যায় বলে খবর।
ওই ভূমিকম্পের জেরে উত্তরবঙ্গে অনুভূত কম্পন হয়েছে। কোচবিহারের মাটিও এদিন দুলে ওঠে সামান্য। তবে এই ভূমিকম্প বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। উল্লেখ্য, অক্টোবর মাসে ১৮ তারিখ অর্থাৎ পুজোর কিছু দিন পরেই কম্পন অনুভূত হয় দার্জিলিঙে (Darjeeling)। সিকিমেও (sikkim) মাটি কেঁপে ওঠে বলে জানা গিয়েছে। রিখটার স্কেলে (4.4 magnitude) ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৪.৪ ম্যাগনিটিউড। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নেপাল। এছাড়াও সিকিম এবং চিনের সীমান্ত জুড়ে কম্পনের উৎসস্থল বিস্তৃত ছিল।
আচমকা মাটি দুলে উঠতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দার্জিলিংয়ের সাধারণ মানুষ ও পর্যটকরা রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। আচমকা এই ভূমিকম্পে আতঙ্ক ছড়ায়। জানা গিয়েছে রিখটার স্কেলে ৪.৭ মাত্রার দুটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে নেপালে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি বলে জানায় ন্যাশনাল সিসমোলজিক্যাল রিসার্চ সেন্টার।