সংক্ষিপ্ত

সোমবার সকালে কেঁপে উঠল মণিপুর রাজ্যের উখরুল এলাকা। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৪ ম্যাগনিটিউড। 

সোমবার সকাল থেকেই একের পর এক ভূমিকম্পের(earthquake) খবর। পরপর তিন জায়গায় কম্পন অনুভূত হয়েছে এদিন। সোমবার (Monday)সকালে কেঁপে উঠল মণিপুর রাজ্যের উখরুল এলাকা(Ukhrul of Manipur)। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৪ ম্যাগনিটিউড (magnitude 4.4 on the Richter scale)। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (National Center for Seismology) এই তথ্য দিয়েছে। 

তবে বড়সড় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। সকাল ৭.৪৮ মিনিটে এই কম্পনের খবর মেলে। মাটি থেকে ৭০ কিমি গভীরে কম্পনের উৎস ছিল। এদিকে, ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল সিকিম (Sikkim)। এর জেরে রবিবার রাতে কম্পন অনুভূত হল দার্জিলিং (Darjeeling) ও জলপাইগুড়িতে। রবিবার রাত ৯ টা ৫০ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৩। এই ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র ছিল গ্যাংটক থেকে ১৮ কিলোমিটার পূর্ব এবং দক্ষিণ পূর্বে। ভুটান সীমান্ত লাগোয়া পদমচেনের কাছে ছিল উফকেন্দ্র। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল দার্জিলিং থেকে ৬৫ কিলোমিটার উত্তর পূর্বে। সিকিম ও উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা ছাড়াও এই কম্পন অনুভূত হয়েছে ভুটান এবং নেপালের বেশ কিছু এলাকায়। রাতের দিকে কম্পন অনুভূত হওয়ায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে। কম্পন অনুভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘরবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন অনেকেই। আর কম্পন রাতের দিকে হওয়ায় আরও বেশি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল স্থানীয়দের মধ্যে। কম্পনের কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠের মাত্র ৬ কিলোমিটার গভীরে। 

২৭শে অক্টোবর আন্দামান নিকোবরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (NCS) জানায় যে ভূমিকম্পটি দিগলিপুরের দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্বে ৮০ কিলোমিটার এবং ৯০ কিলোমিটার গভীরে হয়েছিল। সেভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। 

আরও পড়ুন- ক্যাম্পে আচমকাই গুলি চালাল জওয়ান, মৃত্যু চার সিআরপিএফ কর্মীর

Global Warming-২০৩০ সালের মধ্যে জলের তলায় ডুববে কলকাতা, তালিকায় বড় বড় শহরের নামও

Aryan Khan Case- মাদক মামলায় আরিয়ান খানকে ফাঁসানো হয়েছে-বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে

এদিকে, গত ১৮ই অক্টোবর ভূমিকম্প হয় উত্তরবঙ্গে। কম্পন অনুভূত হয় দার্জিলিঙে। সিকিমেও মাটি কেঁপে ওঠে বলে জানা গিয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৪.৪ ম্যাগনিটিউড। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নেপাল। এছাড়াও সিকিম এবং চিনের সীমান্ত জুড়ে কম্পনের উৎসস্থল বিস্তৃত ছিল। 

আচমকা মাটি দুলে উঠতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দার্জিলিংয়ের সাধারণ মানুষ ও পর্যটকরা রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। আচমকা এই ভূমিকম্পে আতঙ্ক ছড়ায়। জানা যায় রিখটার স্কেলে ৪.৭ মাত্রার দুটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে নেপালে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি বলে জানায় ন্যাশনাল সিসমোলজিক্যাল রিসার্চ সেন্টার। 

মধ্য নেপালে কম্পন অনুভূত হয়েছিল এবং এর কেন্দ্রস্থল কাঠমান্ডু থেকে ১১৪ কিলোমিটার পূর্বে সিন্ধুপালচকের পানফুং এলাকায় ছিল। আধিকারিকরা জানান, মধ্য নেপালে জোড়া ভূমিকম্প আঘাত হানে। প্রথম কম্পন দুপুর ১.৪৬ নাগাদ অনুভূত হয় এবং দ্বিতীয় কম্পনও একই স্থানে দুপুর ১.৫৬ নাগাদ অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে উভয় ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.৭।