সংক্ষিপ্ত

বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা প্রতি সপ্তাহে কতক্ষণ কাজ করবেন, সে বিষয়ে সম্প্রতি কর্পোরেট জগতে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তবে এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কাজের সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে।

বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা প্রতি সপ্তাহে ঠিক কত ঘণ্টা কাজ করলে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকবেন? তাঁদের কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় থাকবে? ইনফোসিসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি, লার্সেন অ্যান্ড টুবরো সংস্থার চেয়ারম্যান এসএন সুব্রহ্মণ্যমের মতের বিপরীত রিপোর্ট দিল ইকনমিক সার্ভে। সংসদে পেশ করা রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোনও কর্মী যদি প্রতি সপ্তাহে ৬০ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন, তাহলে শরীরে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। কাজের জন্য দীর্ঘক্ষণ ডেস্কে সময় কাটালে মানসিক স্বাস্থ্যের উপরেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। একদিনে ১২ ঘন্টা বা তার বেশি সময় ধরে কাজ করলে মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।

ইকনমিক সার্ভেতে কর্মীদের স্বাস্থ্যের কথা উল্লেখ

সংসদে পেশ করা ইকনমিক সার্ভেতে ‘স্যাপিয়েন ল্যাবস সেন্টার ফর হিউম্যান ব্রেন অ্যান্ড মাইন্ড’-এর গবেষণাপত্রের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, মানসিক স্বাস্থ্যের নিরিখে ডেস্কে বসে কাজ করার সময়কে বিশ্লেষণ করে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া গিয়েছে। এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা প্রতিদিন ১০ ঘন্টা সময় ধরে কাজ করেন তাঁদের চেয়ে প্রতিদিন ১২ ঘন্টা বা তার বেশি সময় ধরে কাজ করা ব্যক্তিরা ১০০ পয়েন্ট কম পাবেন। এর অর্থ হল, যাঁরা প্রতিদিন ১২ ঘন্টা বা তার বেশি সময় ধরে কাজ করছেন তাঁদের চেয়ে প্রতিদিন ১০ ঘন্টা সময় কাজ করা ব্যক্তিদের মানসিক স্বাস্থ্য অপেক্ষাকৃত ভালো।

কাজের সময় নিয়ে বিতর্ক

কিছুদিন আগে নারায়ণ মূর্তি বলেছিলেন, কর্মীদের প্রতি সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করা উচিত। লার্সেন অ্যান্ড টুবরোর চেয়ারম্যান একধাপ এগিয়ে বলেছেন, ‘আমার আফশোস হয় যে আপনাদের রবিবার অফিসে এসে কাজ করতে বলতে পারি না। আমি যদি আপনাদের দিয়ে রবিবারও কাজ করাতে পারতাম, তাহলে আরও খুশি হতাম। কারণ, আমি রবিবারও কাজ করি। বাড়িতে বসে আপনারা কী করেন? আপনারা কতক্ষণ স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বসে থাকতে পারেন? অফিসে চলে এসে কাজ শুরু করে দিন।’ কর্পোরেট জগতের প্রখ্যাত ব্যক্তিদের এই বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের বেতন বাড়বে?

ইকনমিক সার্ভে রিপোর্টে বলা হয়েছে, বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি করা উচিত। কর্পোরেট সংস্থার মুনাফা বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মীদের বেতনও বৃদ্ধি করা উচিত। সংস্থার মুনাফা ও কর্মীদের বেতনে বৈষম্য থাকলে দেশের অর্থনীতির উপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

আরও পড়ুন-

'কতক্ষণ স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বসে থাকবে? রবিবারেও অফিসে আসো,' কর্মীদের নিদান এই বিখ্যাত সংস্থার কর্ণধারের

বেঙ্গালুরুতে আইটি কর্মীর আত্মহত্যা! স্ত্রীর অত্যাচারে অভিযোগ, ২৪ পৃষ্ঠার সুইসাইড নোট এল প্রকাশ্যে

আইটি সংস্থায় কর্মী নিয়োগ, বিপুল সংখ্যক কর্ম সংস্থান এ-রাজ্যে, জেনে নিন বিস্তারিত