সংক্ষিপ্ত
হেলফ লাইনের মাধ্যমে বয়স্ক নাগরিকদের পেনশন সংক্রান্ত সংস্যা, বয়স্কদের আইনি সমস্যা সম্পর্কে বিনামূল্য যাবতীয় তথ্য দেওয়া হয়েছে।
কাজের জন্য ছেলে মেয়ে কেউ কাছে নেই। অবসরের দিন। বৃদ্ধ বাবা মা একাই ফ্ল্যাটে বন্দি। কখন বিশাল বাড়ি। অর্ধেকের বেশি ঘরে তালা ঝুলছে। প্রয়োজনের জন্য দু-তিনটি ঘর খোলা রয়েছে। বাড়ির এক কোনও অবসর কাটছে ওঁদের। এবার কেন্দ্রীয় সরকার (central Government) দেশের প্রবীণ নাগরিকদের (Senior Citizen) পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেছে। মোদী সরকারের (Modi Government) কথায় দেশকে সমৃদ্ধশালী করতে একটা সময় এই প্রবীন নাগরিকরা বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন। এখন তাঁরা অসহায়। তাদের সেই অসহায়তা দূর করতেই গোটা দেশ জুড়ে একটি টোল ফ্রি হেল্পলাইন ( Toll Free Hepline) চালু করা হচ্ছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে এল্ডার লাইন ( Elder line)।
এই হেলফ লাইনের মাধ্যমে বয়স্ক নাগরিকদের পেনশন সংক্রান্ত সংস্যা, বয়স্কদের আইনি সমস্যা সম্পর্কে বিনামূল্য যাবতীয় তথ্য দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আসহায় বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের নামাভাবে সাহায্য করবে। তবে পুরো বিষয়টাই অত্যান্ত আবেগের সঙ্গে দেখা হবে- তেমনই ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এল্ডার লাইনের মাধ্যে গৃহহীন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদেরও উদ্ধার করা হবে। পাশাপাশি প্রবীণদের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধমূলক কাজকর্ম হলে তারও প্রতীকার করা হবে।
Viral video: কলকাতার চকোলেট চায়ের ভিডিও হট, আপনি কি টেস্ট করে দেখেছেন
Congress Crisis: ক্যাপ্টেনের দিল্লির সফর, তারমধ্যেই পঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধানের দায়িত্ব ছাড়লেন সিধু
মোদী সরকারের কথায় ২০৫০ সালে দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশই হয়ে যাবে প্রবীণ জনগোষ্ঠী। সংখ্যা দাঁড়াবে ৩০০ মিলিয়নের বেশি। যা অন্যান্য দেশের মোট জনসংখ্যার তুলনায় বেশি। এই শ্রেণীর মানুষদের কাছে শারীরিক, আইনি, আর্থিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা বেশ কিছুটা কঠিন। সম্প্রতী মহামারিকালে তা আরও বেড়ে। তাই এই গোষ্ঠীর মানুষের কথা মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছে এল্ডার লাইন। ১৪৫৬৭ এই নম্বরে ফোন করলেই মুসকিল আসান হয়ে যাবে। এল্ডার লাইনের মূল লক্ষ্যই হল প্রবীণ নাগরিক বা তাদের শুভাকাঙ্খীদের সঙ্গে সমস্যা ভাগ করে নেওয়া। নিত্যাদিন তাঁরা যেসব সমস্যার সম্মুখীন হন তারই সমাধান করে দেওয়াই এই হেলফনলাইনের মূল লক্ষ্য। দেশের যেকোনও জায়গা থেকেই এই নম্বরে ফোন করলে সমস্যার সমাধান চাইতে পারেন প্রবীণ মানুষ বা তাঁদের কাছের আত্মীয়রা।
Defence News: টার্গেটকে ধ্বংস করল আকাশ প্রাইম মিসাইল, পাকিস্তান-চিনের মোকাবিলায় আরও শক্তিশালী ভারত
এল্ডার লাইন টাটা ট্রাস্টের একটি সফল উদ্যোগ। টাটা ট্রাস্ট তাদের সহযোগী হায়দরাবাদের বিজয় বাহিনী চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তেলাঙ্গনা সরকারের জন্য ২০১৭ সালে প্রবীনজের জন্য হেলফলাইন চালু করেছিল। এখনও পর্যন্ত ৬ রাজ্য নিজেদের উদ্যোগে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য হেলফলাইন চালু করেছে। তাতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে টাটারা। এখন টাটা ট্রাস্ট ও তাদের সহযোগি এনএসই ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এল্ডার লাইন পরিচায়নায় কেন্দ্রীয় সরকারকে সহযোগিতা করছে। চার মাস আগে থেকেই এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৭টি রাজ্যে এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পটি চালু করা হয়েচে। বাকি রাজ্যগুলিতেও এই প্রকল্প চালু করাক পথে রয়েছে। গত চার মাসে এল্ডার হেলফলাইনে ২ লক্ষেরও বেশি ফোন করা হয়েছে। যারমধ্যে এখনও পর্যন্ত ৩০ হাজারেও বেশি প্রবীণ মানুষকে পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ৪০ শতাংশ মানুষই কোভিড টিকা সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফোন করেছিল। পেনশন সম্পর্কিত প্রশ্ন ছিল মাত্র ২৩ শতাংশের।
এক প্রবীন ফোন করে জানিয়েছিলেন পেনসংক্রান্ত সমস্যার কথা। এল্ডার লাইনে ফোন করেই তিনি সবকিছু জানিয়েছিলেন। তারপরই পেনশন সংক্রান্ত তথ্যগুলি নিয়ে এল্ডারলাইনের কর্মরত দলটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বসেছিল। রাজ্য ও কেন্দ্র দুই সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়ছিল। সমস্ত কিছু যাচাই করে সেই প্রবীণ ব্যক্তির দ্রুত পেনশন চালু করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকার মনে করছে এল্ডারলাইন আগামী দিনে একটি উল্লেখযোগ্য পরিষেবা হিসেবে গণ্য হবে।