সংক্ষিপ্ত
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে তাঁর চিঠিতে ভোটের শতাংশের পরিসংখ্যানে অসঙ্গতির অভিযোগ করেছিলেন। বলেছেন, ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা এই সময় সর্বকালের সর্বনিম্নে নেমে গিয়েছে।
ভোটের শতাংশ নিয়ে মল্লিকার্জুন খাড়গের অভিযোগের উত্তর দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন কংগ্রেস সভাপতিকে সতর্ক করে বলেছেন, ভোটের হার নিয়ে এভাবে আপত্তি জানালে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। নির্বাচন কমিশন আরও বলেছে, এজাতীয় অভিযোগ সন্দেহ, শত্রুতা তৈরি করতে পারে। প্রকৃত পক্ষে খাড়গে চিঠি লিখে নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ জানিয়েছিল। খাড়গের লেখা চঠি প্রকাশ্যে আসায় রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। কারণ কংগ্রেস নেতা যে চিঠি লিখেছিলেন, সেটাই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই প্রকাশ করেছেন।
নির্বাচন কমিশনের মন্তব্যঃ
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে তাঁর চিঠিতে ভোটের শতাংশের পরিসংখ্যানে অসঙ্গতির অভিযোগ করেছিলেন। বলেছেন, ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা এই সময় সর্বকালের সর্বনিম্নে নেমে গিয়েছে। তিনি বারবার পরিবর্তনশীল ভোটের শতাংশের পরিসংখ্যান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পাশাপাশি প্রশ্ন করেছেন, এটি কি ফলাফল বিকৃত করার চেষ্টা?
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের চিঠি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন কংগ্রেসের নেতা খাড়গের বিরুদ্ধে বিভ্রান্ত সৃষ্টি ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলার অভিযোগ করেছেন। কমিশন বলেছে, এসব অভিযোগ বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে ভুল পথে যেতে পারে। যা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। নির্বাচন কমিশন আরও বলেছে, খাড়গের চিঠিটি রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ চিঠিপত্রের আকারে ছিল। তারপরই তিনি এটি প্রকাশ করে। কমিশন সন্দেহ করছে এটি বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারে।
নির্বাচন কমিশন বলেছেঃ
১। পোলিং ডেটা রিয়েল টাইমে উপলব্ধ এবং তাই কংগ্রেসের অভিযোগ যে এটি প্রকাশে বিলম্ব হয়েছে তা অযৌক্তিক।
২। কংগ্রেস বা INDI জোটের কোনও প্রকৃত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চূড়ান্ত ভোটগ্রহণের তথ্য (ফর্ম 17C এর মাধ্যমে) বা ভোটার তালিকার অনুপলব্ধতার বিষয়টি উত্থাপন করেননি। খড়গে সম্পূর্ণভাবে এই অভিযোগটি নিজের থেকে করেছেন।
৩। নির্বাচন কমিশন পূর্ববর্তী নির্বাচনের একাধিক উদাহরণের মাধ্যমে দেখিয়েছে যে প্রেসের মাধ্যমে প্রকাশে সাময়িক দেরী হয়নি, সামগ্রিক একত্রিত তথ্য ভোটের সংখ্যায় কোনও সংশোধন করা হয়নি যা স্বাভাবিক ছিল না।
৪। ২০২৩ সালে কর্ণাটক নির্বাচনের সময় কংগ্রেসের সুরজেওয়ালা একইভাবে কমিশনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেছিলেন। তা উল্লেখ করে কমিশনে মল্লিকার্জুন খাড়গের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
৫। নির্বাচন কমিশন চিঠিকে কংগ্রেসের একটি এজেন্ডা উন্মোচিত করেছে। যেখানে বলা বয়েছে, কংগ্রেস একাধিকবার এজাতীয় রহস্যময় সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ভারতের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়েও সন্দেশ প্রকাশ করেছে।
৬। সামগ্রিকভাবে নির্বাচন কমিশন দেশের একটি জাতীয় দলের প্রধানের এতাজীয় চিঠি নিয়ে সমালোতন করেছে। মল্লিকার্জুন খাড়গেকে সতর্ত করেছে। নির্বাচন নিয়ে সন্দেশ প্রকাশ না করার পরামর্শ দিয়েছে।