সর্বভারতীয় পুলিশ কম্যান্ডো প্রতিযোগিতার স্নাইপার ক্যাটেগরিতে 'সাবার' তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি 'ব্যারেট'কে পিছনে ফেলে দিয়েছে। মহারাষ্ট্র পুলিশের 'ফোর্স ওয়ান' বাহিনী 'ব্যারেট' ব্যবহার করে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে
সম্প্রতি সর্বভারতীয় পুলিশ কম্যান্ডো প্রতিযোগিতায় ভারতীয় স্নাইপার রাইফেল 'সাবার' তার বিদেশি প্রতিদ্বন্দ্বীদের টেক্কা দিয়ে সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছে। ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি) বাহিনী এই রাইফেল ব্যবহার করেই এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে।
'সাবার'-এর বৈশিষ্ট্য
এই রাইফেলের পোষাকি নাম হল .৩৮৮ লাপুয়া ম্যাগনাম । যা 'সাবার' নামে পরিচিত ভারতীয় কম্যান্ডোদের কাছে । এই রাইফেলের নির্মাতা হল বেঙ্গালুরুর এসএসএস ডিফেন্স । বলা হচ্ছে, প্রায় দেড় কিলোমিটার নিখুঁত নিশানায় আঘাত হানতে সক্ষম, প্রাণঘাতীর ক্ষমতা রাখে এই সাবার। এই সাবার রাইফেল যেন ভাবতীয় সেনাবাহিনীর কাছে এর ব্রক্ষাস্ত্রের সমান।
প্রতিযোগিতায় কীভাবে সাফল্য
সর্বভারতীয় পুলিশ কম্যান্ডো প্রতিযোগিতার স্নাইপার ক্যাটেগরিতে 'সাবার' তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি 'ব্যারেট'কে পিছনে ফেলে দিয়েছে। মহারাষ্ট্র পুলিশের 'ফোর্স ওয়ান' বাহিনী 'ব্যারেট' ব্যবহার করে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে।
'সাবার'-এর বিশেষত্ব
'সাবার' শুধু নিখুঁত লক্ষ্যভেদেই সেরা নয়, প্রাণঘাতী আঘাতের ক্ষেত্রেও এটি অন্যান্য রাইফেলের থেকে অনেক এগিয়ে। এই কারণে এটি ভারতীয় কম্যান্ডোদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়।
'সাবার'-এর চাহিদা বৃদ্ধি
'সাবার'-এর উৎকর্ষের কারণে এর চাহিদা বর্তমানে বেড়েছে। ইতিমধ্যেই কয়েকটি বিদেশি কম্যান্ডো বাহিনী এই রাইফেল ব্যবহার করছে এবং ভবিষ্যতে এর চাহিদা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দেশীয় প্রযুক্তির গর্ব
'সাবার' ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি একটি স্নাইপার রাইফেল। এর সাফল্য দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একটি বড় অর্জন। এটি প্রমাণ করে যে ভারত এখন আন্তর্জাতিক মানের সামরিক সরঞ্জাম তৈরি করতে সক্ষম।
অন্যান্য ভারতীয় স্নাইপার রাইফেল
ঘাতক: ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরিতে তৈরি, বিভিন্ন রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশবাহিনী ও কেন্দ্রীয় আধাসেনা ব্যবহার করে। এছাড়াও ভারতীয় সেনাবাহিনী রুশ ড্রাগোনভ, ইজরায়েলের আইএমআই গালিল এবং জার্মানির হেকলার অ্যান্ড কখ-এর তৈরি স্নাইপার রাইফেল ব্যবহার করে।'সাবার'-এর সাফল্য ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এটি দেশের সামরিক সক্ষমতাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
