সংক্ষিপ্ত

অভিযুক্ত যুবক বেঙ্গালুরুর কাছারকানাহল্লি এলাকার বাসিন্দা। পুলওয়ামা হামলার পরে বেশ কয়েকটি মিডিয়া চ্যানেলের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সেনাবাহিনীকে উদযাপন এবং উপহাস করার জন্য যুবককে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

২০১৯ সালে, জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় একটি সিআরপিএফ কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা হয়েছিল। এই হামলায় ৪১ জন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হন। হামলার উদযাপনকারী ২২ বছর বয়সী একজনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই হামলা সংক্রান্ত খবরে ওই যুবক আনন্দ প্রকাশ করে হামলার পাঁচ বছর পূর্তি উদযাপন করে। সেই সঙ্গে সেনাবাহিনীকে নিয়ে ব্যঙ্গও করে বলে খবর। জানা গিয়েছে ওই যুবক বেঙ্গালুরুর একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র। ফয়েজ রশিদ নামে ওই ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করেছে আদালত।

অভিযুক্ত যুবক বেঙ্গালুরুর কাছারকানাহল্লি এলাকার বাসিন্দা। পুলওয়ামা হামলার পরে বেশ কয়েকটি মিডিয়া চ্যানেলের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সেনাবাহিনীকে উদযাপন এবং উপহাস করার জন্য যুবককে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। বিশেষ আদালত এ বিষয়ে শুনানি করে। আদালতের বিচারকরা রায়ে জানিয়েছে যে যুবকদের উদ্দেশ্য ছিল সাম্প্রদায়িক হিংসা উসকে দেওয়া।

আদালত জানিয়েছে ইচ্ছাকৃতভাবে অপরাধ করা হয়েছে

আদালতের বিচারক বলেন, ফয়েজ রশিদ একবার বা দুবার নয়, কয়েক ডজন বার এ ধরনের মন্তব্য করেছেন। এটাও লক্ষণীয় যে অভিযুক্ত যুবক অশিক্ষিত বা সাধারণ মানুষ নয়। ২০১৯ সালে, সে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র ছিল এবং সে ইচ্ছাকৃতভাবে এমন মন্তব্য করেছিল। আদালত বলেছে যে হামলায় ভারতের সেনা জওয়ানরা শহিদ হওয়ার পর ওই যুবক খুশি হয়েছিল এবং সে রীতিমত উৎসব উদযাপন করেছিল। এমতাবস্থায় ওই তরুণের এই অপরাধ দেশের বিরুদ্ধে এবং প্রকৃতির বিরুদ্ধেও অত্যন্ত নিষ্ঠুর। অভিযুক্ত যুবক ২৪ বারের বেশি এমন অপরাধ করেছে। আদালত UAPA এর ১৩ ধারায় দোষী বিবেচনা করে ফয়েজ রশিদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। এছাড়াও, তাকে আইপিসির ১৫৩এ এবং ২০১ ধারার অধীনেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

পুলওয়ামা হামলা কীভাবে ঘটেছিল

অবন্তিপোরার কাছে লেথপোরায়, বিকাল তিনটে বেজে পনেরো মিনিট নাগাদ, নিরাপত্তা রক্ষীদের কনভয়ে, আইইডি বোঝাই একটি গাড়ি নিয়ে হামলা চলে। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে আড়াই হাজার সিআরপিএফ কর্মী নিয়ে জম্মু থেকে শ্রীনগরের উদ্দেশে যাচ্ছিল কনভয়। রাস্তায় ২২ বছর বয়সী আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল আহমের দার বেলা তিনটের দিকে একটি মারুতি ঢুকিয়ে দিয়েছিল কনভয়ের মধ্যে। তাতেই বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়েগিয়েছিল সিআরপিএর সদস্যদের একটি বাস। দুর্ঘটনার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই নিহত হয়েছিল ৪০ জওয়ান। প্রশাসনের কথায় উপত্যকার ৩০ বছরের সবথেকে ভয়াবহ ঘটনা ছিল এটি।

দায় স্বীকার করে জইশ

পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদ হামলার দায় স্বীকার করে। তারা কাকাপোরার বাসিন্দা ২২ বছর বয়সী আততায়ী আদিল আহমেদ দারের একটি ভিডিও প্রকাশ করে যে এক বছর আগে এই গ্রুপে যোগ দিয়েছিল। সেখান থেকেই গোটা ঘটনা সামনে আসে।