সংক্ষিপ্ত

কমিটি বুধবারই তার খসড়া রিপোর্ট তৈরি করেছিল, যেখানে মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি সত্য বলে বিবেচিত হয়েছিল। কমিটি খসড়া রিপোর্টে মহুয়াকে লোকসভা থেকে অযোগ্য ঘোষণা করার সুপারিশ করেছিল।

তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে রিপোর্ট তৈরি করেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি। ঘুষ গ্রহণ ও সংসদে প্রশ্ন তোলার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় তৈরি প্রতিবেদনে এথিক্স কমিটির সদস্যরা দুরকমের সম্মতি দিয়েছেন। এথিক্স কমিটির চেয়ারপার্সন এবং বিজেপি সাংসদ বিনোদ সোনকারের মতে, ৬ জন সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলিকে সত্যি বলে স্বীকার করেছেন, আর চারজন সদস্য এর বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে প্রতিবেদনটিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের অভিযোগে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল এথিক্স কমিটি। রিপোর্ট জমা দেওয়ার আগে, কমিটি দুবে এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয় আনন্দ দেহরায়ের মতামত শুনেছিল এবং মহুয়ার বিরুদ্ধে তাদের দেওয়া প্রমাণ দেখেছিল। এর পরে, কমিটি মহুয়ার পক্ষেও বক্তব্য সোনে। তবে কমিটির প্রশ্নে ক্ষুব্ধ তৃণমূল সাংসদ মাঝপথে বৈঠক ছেড়ে চলে যান।

এখন কি মহুয়ার সংসদ সদস্যপদ ছিনিয়ে নেওয়া হবে?

কমিটি বুধবারই তার খসড়া রিপোর্ট তৈরি করেছিল, যেখানে মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি সত্য বলে বিবেচিত হয়েছিল। কমিটি খসড়া রিপোর্টে মহুয়াকে লোকসভা থেকে অযোগ্য ঘোষণা করার সুপারিশ করেছিল। খসড়া রিপোর্টে, কমিটি মহুয়া এবং ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির মধ্যে লেনদেনের মানি ট্রেল তদন্ত করার জন্য সরকারকে সুপারিশ করেছিল। কমিটি বৃহস্পতিবার একই খসড়া প্রতিবেদন অনুমোদন করেছে কি না বা তাতে কোনো পরিবর্তন আনা হয়েছে কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়।

এসব অভিযোগ মহুয়ার বিরুদ্ধে

বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে দাবি করেছিলেন যে মহুয়া মৈত্র ইচ্ছাকৃতভাবে আদানি গ্রুপ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে লোকসভায় এমন প্রশ্ন করছেন, যা প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে পারে। দুবে দাবি করেছিলেন যে মহুয়া আদানি গ্রুপের প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যবসায়ী হিরানন্দানির কাছ থেকে ঘুষ হিসাবে নগদ টাকা এবং উপহার নিয়ে এই কাজটি করেছিলেন। দুবে আরও দাবি করেছিলেন যে মহুয়ার সংসদীয় আইডির পাসওয়ার্ড হিরানন্দানির কাছে রয়েছে, যা তিনি দুবাইতে এই ইমেলটি খুলতে এবং সংসদে আদানি গ্রুপ এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে মহুয়ার পক্ষে প্রশ্ন দায়ের করতে ব্যবহার করেছেন। দুবে এটিকে সংসদীয় গোপনীয়তার লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছিলেন। যদিও, মহুয়া এই সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং এটিকে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলেছেন।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।