সংক্ষিপ্ত
ইভটিজারই মেরে ভেঙে দিল নির্যাতিতার হাত-পা। পুলিশ এফআইআর দায়ের করল নির্যাতিতার বিরুদ্ধেই। ভিডিও পোস্ট করে গুরুতর অভিযোগ করলেন জিগনেশ মেভানি। জবাব চাইলেন গুজরাতের ডিজিপির কাছে।
ভয়ঙ্কর নারী নির্যাতনের ভিডিও। সেইসঙ্গে ভয়ঙ্কর পুলিশি দুর্নীতি। ঘটনা যদি সত্যি হয়, তাহলে তা অত্যন্ত গুরুতর। শুক্রবার গুজরাতের ভদগামের বিধায়ক জিগগেশ মেভানি এক অল্প বয়সী যুবতীকে বেধড়ক মারধরের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন টুইটারে। সেইসঙ্গে হাথরসের ঘটনার তুলনা এনে এই ঘটনায় গুজরাত পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। গুজরাত পুলিশের ডিজিপি আশীষ ভাটিয়াকে ট্যাগ করে টুইটারে তিনি বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগের জবাবদিহি চেয়েছেন।
জিগনেশ মেভানির পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায় এক ব্যক্তি অপর একজনকে মারধর করছে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই অপর এক পুরুষকে দেখা যায় একটি বাঁশ হাতে এক যুবতী মহিলার উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে। এক সময় বাঁশের লাঠি হাতে লোকটি ওই মহিলাকে লাথি মারে, বাঁশের বাড়িও মারতে দেখা যায়।
এই ভিডিওটি প্রকাশ করে জিগনেশ মেভানি দাবি করেছেন, ঘটনাটি গুজরাতের বনাসকাঁঠা জেলার দেওদর তালুকের রায়া গ্রামের। যে দুজনকে মারধর করতে দেখা যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ইভটিজিং-এর অভিযোগ রয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন তারপর অভিযুক্তরা ওই মহিলাকে মেরে তাঁর হাত-পা ভেঙে দেয়। শেষে পুলিশ, অভিযুক্তদের কাছ থেকে নির্যাতিতার বিরুদ্ধেই এফআইআর গ্রহণ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তরুণ বিধায়ক।
ঘটনাটির সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের হাথরসের সাম্প্রতিক নির্যাতনের ঘটনার তুলনাও করেছেন তিনি। বলেন, 'হাথরসের পুলিশ নির্যাতিতার পরিবারকে বদনাম করতে উদ্যত'। গুজরাতের বনাসকাঁঠার পুলিশও সেই পথেই চলছে বলে দাবি করেন তিনি।