সংক্ষিপ্ত
- ২০ বছর আগে ঘটেছিল তেহলকার স্টিং অপারেশন
- যা নাড়িয়ে দিয়েছিল ভারতের রাজনৈতিক ভিতকে
- সেই স্টিং অপারেশনও করেছিলেন সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েল
- দুই দশক আগের সেই মামলায় সাজা পেলেন সমতা পার্টির প্রাক্তন প্রধান
ভারতীয় রাজনীতিতে দুর্নীতির ঘটনায় ফের একবার ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়ল বেড়াল। তামিলনাড়ু প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা এআইএডিএমকের প্রাক্তন প্রধান প্রয়াত জয় ললিতাকে দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলে যেতে হয়েছিল। এবার ভারতীয় রাজনীতির আরও এক জয়াকে কারাগারে পাঠাল আদালত। ২০ বছর আগেই দুর্নীতি মামলায় এবার দোষী সাব্যস্ত হলেন একদা সমতা পার্টির প্রধান জয়া জেটলি।
প্রতিরক্ষা চুক্তি সংক্রান্ত এক দুর্নীতি মামলায় জয়া জেটলিকে ৪ বাছারের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। তাঁর দলের প্রাক্তন সহযোগী গোপাল পাচারওয়াল এবং অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এসপি মুরগাইকেও এই একই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সব রেকর্ড ভেঙে দেশে দৈনিক আক্রান্ত ৫২ হাজার ছাড়াল, মোট সংক্রমণ ১৬ লক্ষ ছুঁই ছুঁই
আদালত তিন জনকেই এক লক্ষ টাকা করে আর্থিক জরিমানাও করেছে। পাশাপাশি দোষী সাবস্যস্তরে বৃহস্পতিবার বেলা ৩টের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিওয়া হয়েছে। বিশেষ সিবিআইয়ের বিচারক বীরেন্দ্র ভাটের কাছে সিবিআইয়ের পক্ষের আইনজীবী দোষীদের যতটা সম্ভব সাজা ঘোষণার আবেদন করেছিলেন। অপরাধের প্রকৃতি ও গুরুত্ব বিচার করেই এই আবেদন করা হয়েছিল। সিবিআই জানায়, তহেলকা নিউজ পোর্টালের স্টিং অপারেশনের পরে এই মামলার দোষীদের ভূমিকা প্রকাশ্যে আসে।
গত ২৫ জুলাই দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্ট জয়া জেটলি ও তার ২ সহযোগীকে দুর্নীতি ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের জন্য দোষী সাব্যস্ত করে। তবে সাজা ঘোষণার সময় তার বয়স যাতে বিবেচনায় রাখা হয় সেই আবেদন করেছিলেন জয়ার আইনজীবী।
আরও পড়ুন: ভোর্টার কার্ডই দিচ্ছে নাগরিকত্বের প্রমাণ, আরটিআইয়ের জবাবে সাফ জানাল নির্বাচন কমিশন
২০০১ সালে তেহলকা নিউজ পোর্টালের হাত ধরে 'অপরেশন ওয়েস্টেন্ড' নামের এক স্টিং অপরেশন চলে। সেই স্টিং অপারেশনে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল সমতা পার্টির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জয়া জেটলির বিরুদ্ধে। এমন পরিস্থিতিতে আদালতে মামলা ওঠে। আর সেই মামলায় অভিযোগের কাঠগড়া থেকে সোজা দোষী সাব্যস্ত হয়ে গেলেন জয়া জেটলি।
জয়া জেটলির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ২ লাখ টাকা ম্যাথু স্যামুয়েলসের কাছ থেকে নেওয়ার অভিযোগ ছিল। একটি কল্পিত সংস্থা তৈরি করে সেনাবাহিনীর থেকে বরাত পেতে জয়াকে ঘুষ দিয়েছিলেন ম্যাথু। সেই ম্যাথু স্যামুয়েলস, যে সাংবাদিক নারদা মামলাতেও একইভাবে ঘুষ নেওয়া ঘিরে স্টিং অপরেশন করেন। তাঁর হাত ধরেই তেহলকা ডট কম সেবার স্টিং অপরেশন করেছিল। আর তার পরই কাঠ গড়ায় দাঁড়ান জয়া জেটলি।
তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জর্জ ফার্নান্ডেজের বাসভবনে এই ঘুষ নিয়েছিলেন জয়া। এই ঘটনা সামনে আসার পর বাজপেয়ী সরকার থেকে ইস্তফা দিতে হয়েছিল জর্জ ফার্নান্ডেজকে। এই ঘটনায় তৎকালীন বিজেপি সভাপতি বঙ্গারু লক্ষ্মণের নামও সামনে আসে। যদিও পরে তাঁকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছিল।