সংক্ষিপ্ত
কর্ণাটকে ভোট রণাঙ্গণের দামাম বেজে গিয়েছে। নরেন্দ্র মোদী থেকে অমিত শাহ-র বারবারই নির্বাচনী প্রচারে আসছেন কর্ণাটকে। এমনই এক সময়ে এশিয়ানেট নিউজ নেটওয়ার্কের মুখোমুখি অমিত শাহ। জানালেন কর্ণাটক নির্বাচন ২০২৩-এ বিজেপির ভবিষ্যৎ।
কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া বিজেপি। আর বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ সৈনিক হিসেবে রনাঙ্গণে উপস্থিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা মোদী সরকারের নম্বর টু অমিত শাহ। কর্ণাটকে ব্যস্ত কর্মসূচীর মধ্যেই অমিত শাহ কথা বলেন এশিয়ানেট নিউজ সুবর্ণার এডিটর অজিত হানামাক্কানাভার - এর সঙ্গে। জানিয়ে দেন কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন - ২০২৩এ বিজেপির রণকৌশল। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন।
এশিয়ানেট নিউজঃ আপনি এই সময় কী অনুভব করছেন?
অমিত শাহঃ খুব ভাল পরিস্থিতিতি। গত আড়াই মাসে আমি ১৭বার এখানে এসেছি। কর্ণাটকের প্রায় পুরোটা সফর করেছি। আমি অধিকাংশ জেলায় গিয়েছি। সমস্ত এলাকা কভার করা হয়। বিজেপি এবার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জয়ী হবে।
এশিয়ানেট নিউজঃ অনেক বিজেপি নেতা অনেক কথা বলছেন। এর কী কোনও মানে হয় না? ২০১৩ সালে ইয়েদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন, ২০১৮ সালে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অ্যান্টি ক্যাম্পস ছিল। এই নির্বাচনে কি ইস্যু কম?
অমিত শাহঃ অনেকেই রয়েছে এটাকে ক্ষুদ্র দৃষ্টিকোন থেকে দেখছে। তবে আমাদের কাছে এটাই ঐতিহ্য, ঐতিহ্যগত নির্বাচন হিসেবেই দেখছি। মোদীজির ৯ বছরের শাসনকালে গোটা দেশেই নতুন এক জাতের উত্থান হয়েছে। যার নাম বেনিফিসারি অর্থাৎ উপভোক্তা (মূলত সরকারি সুবিধে প্রাপ্ত)। শুধুমাত্র কর্ণাটকেই প্রায় ৪ লক্ষ ১০ হাজার মানুষ বাড়ি পেয়েছে। বৈঠকের পর তাদের কয়েকজনের সঙ্গে আমি দেখা করেছি। জল জীবন মিশনের অধীনে এই প্রথম কর্ণাটকের প্রায় ৪৩ লক্ষ পরিবার কলের জল পেয়েছ। কল থেকে তারা বিশুদ্ধ জল পেয়েছে। কর্ণাটকের ৪৮ লক্ষ পরিবার রয়েছে যাদের কাছে গত ৭০ বছর ধরে কোনও শৌচাগার ছিল না। কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পের অধীনে কোনও কোনও কমিশন ছাড়াই এই রাজ্যের কৃষকরা সরকার টাকা পাচ্ছে। ৩৭ লক্ষ মহিলা গ্যাস সিলিন্ডার পেয়েছে। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অধীনে ১.৩৮ কোটি মানুষ পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছে। ওভারল্যাপিং সরিয়ে দিলেও কর্ণাটকের প্রায় ২ কোটি মানুষ উপকৃত হয়েছে। কর্ণাটকের অভ্যন্তরে প্রায় ৩ কোটি মানুষ প্রতি মাসে পাঁচ কেজি করে বিনামূল্য শস্য পাচ্ছে। আপনি যখন সমাজকে মাইক্রোনিকভাবে দেখেন, আপনি যদি লিঙ্গায়ত, মুসলিম, দলিত, ওবিসি সমাজের দিকে তাকান, আপনি এটি দেখতে পাবেন না। ২০০৯ সালে বিজেপি বারবার নতুন অনেক এলাকায় জয়লাভ করছে। আমি মনে করি একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসেবে আপনার বিশ্লেষণ করা উচিত যে মণিপুরে আমাদের ০.৩ শতাংশ ভোট ছিল। আজ সেখানে আমাদের পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার এসেছে এবং ভোটের হার ৫০ শতাংশে পৌঁছেছে। আসামে, ৩৭ শতাংশ সংখ্যালঘু আছে, আমরা বিশ্বাস করি যে এই সংখ্যালঘুরা আমাদের ভোট দেয় না। সেখানে আমাদের দুজন বিধায়ক ছিল এবং দ্বিতীয়বার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার এসেছে। ত্রিপুরায় ২৭ বছর কমিউনিস্ট সরকার ছিল। উত্তরপ্রদেশে আমাদের ৩০-৩৫ জন বিধায়ক ছিল। তাই এর পেছনের একজন ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসেবে দেখলে আপনাকে এরকম দেখাবে। কিন্তু আমি জানি, আমি যখন বক্তৃতা করি, যারা বাড়ি, টয়লেট, গ্যাস পেয়েছে, তারা করতালি শুনতে পায়। এটি দেখায় যে আরও সুবিধাভোগী রয়েছে। এটি একটি ভিন্ন ধরণের জাতিতে পরিণত হয়, যা আপনার গণনার মধ্যে আসে না।
এশিয়ানেট নিউজঃ কর্ণাটকে উন্নয়ন সমস্যা?
অমিত শাহঃ অনেক সমস্যা আছে। তারপরেও সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে এখানকার মানুষ খুশি। বিশ্বে যে ভারতের আধিপত্য বে়ড়েছে এতেও খুশি তারা। মহাকাশে আমাদের সাফল্যে তারাও খুশি। তাই তারা কেন কংগ্রেসকে ভোট দেবে?
এশিয়ানেট নিউজঃ কর্ণাটকের ভোটাররা কি ক্ষমতার পরিবর্তন চাইছে?
অমিত শাহঃ তা নয়, জনতা দলের সরকার এখানে বহুবার এসেছে। চারবার কংগ্রেসের সরকার এই রাজ্যের দায়িত্ব নিয়েছে।
এশিয়ানেট নিউজঃ আপনি যে সংখ্যার কথা বলছেন সেকথা রাজ্যের অন্য কোনও নেতা বলছে না। আপনি কি এখানে অন্য কোনও ইস্যু দেখতে পাচ্ছেন?
অমিত শাহঃ না , এটা তেমন বিষয় নয়। একেকজন নেতার কাছে সেই এলাকার সুবিধেভোগীদের পুরো তথ্য থাকে। আমি সবেমাত্র ১৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে মিটিং করেছি। প্রত্যেকেরই পূর্ণ বিবরণ রয়েছে। আমাদের ইনচার্জের কাছে বুথভিত্তিক তথ্য রয়েছে।
এশিয়ানেট নিউজঃ লিঙ্গায়েত ভোট নিয়ে কী চিন্তিত?
অমিত শাহঃ কোনও টেনশন নেই। কংগ্রেস কী করছে যে লিঙ্গায়েত ভোট কংগ্রেসের দিকে যাবে। কংগ্রেস ৭০ বছরে মাত্র দুই জন লিঙ্গায়েত মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছে। বাকিটা তাদের ব্যবহার করেছে, তাদের অপমান করে তাড়িয়ে দিয়েছে। একজনকে বিমানবন্দর থেকে বের করে দিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। অন্যজনকে রাজীব গান্ধী। আমাদের মুখ্যমন্ত্রীও লিঙ্গায়েত। আমাদের ইয়েদুরাপ্পাজির মত কোনও নেতা আছে? লিঙ্গায়েতে কেউ নেই।
এশিয়ানেট নিউজঃ ইয়েদুরাপ্পাকে অপসারণ করা হয়েছিল বা সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এটাকে কি ভুল সিদ্ধান্ত বলে আপনি মনে করেন?
অমিত শাহঃ একদমই তা নয়। ইয়েদুরাপ্পাজিই প্রথমে আমাদের বলেছিলেন, যে দলের নিয়ম অনুযায়ী ৭৫ বছর বয়স হয়ে গেলে তাঁকে সরিয়ে দিতে হবে। আমরা তখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি।
এশিয়ানেট নিউজঃ আপনি কি মনে করেন এই পরিবর্তনের উদ্দেশ্য সফল হয়েছে?
অমিত শাহঃ উদ্দশ্যে বদলায়নি। আমাদের দল এমন যে, যেখানে শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীরাই গুরুত্বপায় - এমনটা নয়। এমন হাজার হাজার কর্মী রয়েছে যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে না। কিন্তু তারাও দলের সম্পদ। কুশাভাউ ঠাকরে জি, যিনি কখনই নির্বাচনে লড়াই করেননি, তিনি ছিলেন একটা সময় বিজেপির জাতীয় সভারতি। প্রতিটি রাজ্যে শত শত কর্মী রয়েছে যারা নির্বাচনে লড়াই করে না। তারমানে এই নয় যে সেই সব কর্মীদের কোনও অবদান নেই দলে। ইয়েদুরাপ্পাজি নিজেই বিধানসভায় কংগ্রেসের সদস্যদের বলেছিলেন তোমরা চিন্তা করো না। আমি এবারও তোমাদের সমস্যায় ফেলব। পরের বারও তোমাদের সমস্যায় ফেলব। তবে এবার ইয়েদুরাপ্পাজি কর্ণাটক নির্বাচনে দলকে সামনের সারি থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
এশিয়ানেট নিউজঃ লক্ষ্ণণ সৌদি ও জগদীশ শেট্টারের মতো নেতারা দল ত্যাগ করছে। দলের ক্ষতি হবে বলে কী আপনি মনে করেন?
আমিত শাহঃ আমাকে বলতে দিন। দুজনেই প্রায় ৩০ হাজারে বেশি ভোটে হারতে চলেছেন। গণনার পরে এই বিষয়ে আমাকে ফোন করতে পারেন। আমি ৯০এর দশক থেকে হুবলিতে দলের সংগঠনের সঙ্গে পরিচিত। সেখানে ভোট ব্যক্তি কেন্দ্রীক নয়। মানুষ দলকে ভোট দেয়।
এশিয়ানেট নিউজঃ জগদীশ শেট্টার হুবলি সেন্ট্রাল থেকে হারবেন না জিতবেন ... প্রশ্নটা তা নয়, বাকি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটারদের ওপর কী প্রভাব পড়বে?
অমিত শাহঃ সেটাই তো বলছি! ভোটাররাও জানেন যে একজন বিধায়ক উপমুখ্যমন্ত্রী ও বেশ বড় কয়েকটি দায়িত্ব দেওযা হয়েছিল তাঁকে। বড় প্রশ্ন হল বিজেপি কর্মীরা কীভাবে কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন। তিনি যদি আদর্শ থেকে কর্মী হন! তিনি নিজের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য যে কোনও জায়গায় যেতে পারেন। তিনি নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়েছেন। মানুষ পুরোটা দেখছে। তবে সাংবাদিকদের মত নয়। মানুষ ব্যক্তিগত চরিত্র দেখে।
এশিয়ানেট নিউজঃ সমস্যা কোথায় গেল? এটাকে যোগাযোগর সমস্যা?
অমিত শাহঃ দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া হবে না। আমি নিজে তাঁকে বলেছিলাম, আপনাকে প্রার্থী করা হবে না। কিন্তু দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হবে। তিনি এটা হজম করতে পারেননি। এখানে গোলমালের কোনও প্রশ্নই আসে না। অনেকেই টিকিট পায়নি। তাতে কোনও গন্ডোগোল হয়নি।
এশিয়ানেট নিউজঃ শেট্টারের কংগ্রেসে যোগদানে কি উৎসহ ছিল? শেট্টারের আচরণ তিনি একটি শক্তিশালী দলের অঙ্গ হয়েছেন।
অমিত শাহঃ এটাই তাদের সমস্যা। তাদের কোনও নেতা নেই। বিজেপি থেকে কেউ যদি তাদের দলে যোগদান করে তাহলে কংগ্রেস মনে করে এটাই তাদের কাছে একটা বড় জয়। জগদীশ শেট্টার বলেছিলেন তিনি বোমাইয়ার অধীনে মন্ত্রী হবেন না। তাই দল তাঁকে টিকিট দেয়নি।
এশিয়ানেট নিউজঃ আপনি সুবিধেভোগীদের তালিকা পড়ছিলেন কোন প্রকল্পে সুবিধেভোগীর সাহায্য পেয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস আপনার বিরুদ্ধে একটি পিটিশন দাখিল করেছে। যে আপনি মানুষকে ভয় দেখাচ্ছেন যে যদি কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে তাহলে সাম্প্রদায়িক সমস্যা তৈরি হবে। কী দরকার ছিল এটা অমিত শাহের?
অমিত শাহঃ না ভাই, আমি ভয় পাই না। সত্যি বলছি। এই দেশের সাম্প্রদায়িক মামলার ইতিহাস দেখুন। এই ধরনের ৯০ শতাংশ ঘটনা ঘটেছে কংগ্রেসের শাসনকালে। আপনার পরিসংখ্যানও লক্ষ্য করা উচিৎ। ৯০ শতাংশ। এটা তাদের রেকর্ড করা। আমি রেকর্ডকে জনসাধারণের সঙ্গে ভাগ করেছি মাত্র। কেউ ভয় পায় না। আমি সতর্ক করেছি মাত্র।
এশিয়ানেট নিউজঃ আপনি এই পরিকল্পনা সম্পর্কে কী বলেন?
অমিত শাহঃ কার সামনে এটি হয়েছে তার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ। যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করা গয় আমি উত্তর দেব আমার এই বক্তব্যের উদ্দেশ্য কি ছিল।
এশিয়ানেট নিউজঃ কংগ্রেস তার প্রতিশ্রুতির ওপর আস্থা রাখে। রাহুল গান্ধী পঞ্চম প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এটি নিয়ে কী বলবেন?
অমিত শাহঃ গুজরাট, উত্তর প্রদেশ, উত্তারাখণ্ড, অসম, মণিপুর ও ত্রিপুরায় এজাতীয় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কংগ্রে,। সেখানে এখানের থেকে ভাল ছিল এই প্রকল্পগুলি। কিন্তু দলটিকেই কেউ বিশ্বাস করে না। তাই তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতিও বিশ্বাস করে না।
এশিয়ানেট নিউজঃ টাকা নয়, গৃহিনীরা বিনামূল্য বিদ্যুৎ পাবেন?
অমিত শাহঃ একেবারেই না, গৃহিনীরা বিনামূল্যে একটি করে শৌচাগার পেয়েছেন। বিনামূল্যে গ্যাস সিলিন্ডার পেয়েছেব। কোনও চার্জ ছাড়াই বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছেন। এক লক্ষ টাকার বাড়িও পেয়েছেন। বার্ষিক ১০০০০ টাকা কৃষক সম্মানী পাচ্ছেন। এর থেকে ভাল কোনও প্রকল্প হয় না। আমাদের এই প্রকল্পগুলি আগে থেকেই আমাদের ভোটাররা পছন্দ করছেন। তারা জানে এগুলি সব বন্ধ হয়েগেলে মাত্র ২ হাজার টাকা দিয়ে তিনি কী করবেন। এটা কোনও যুক্তি নয়। সাধারণ মানুষ সব বোঝে।
এশিয়ানেট নিউজঃ এখানে কংগ্রেস নেতারা মোদীজির একটি বক্তব্যের সমালোচনা করেন, মজা করেন। মোদীজি বলেছিলেন- আমি খাব না, খাতেও দেব না। কর্ণাটকে কি আপনার সরকারের ৪০ শতাংশ দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে? আপনি যে বিষয়ে আপনি কি বলেন?
অমিত শাহঃ যদি কোনও আদালতে বা অন্য কোনও জায়গায় ৪০ শতাংশ দুর্নীতির মামলা হয়ে থাকে তাহলে আপনি আমাকে বলুন। বিজেপি বিধায়কের ছেলে ৪০ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছিল , আমরা তাকে জেলে পাঠিয়েছিল। এমনকি তাকে টিকিটও দিই নি। বিভ্রান্ত ছড়ান সহজ কিন্তু মানুষ এটা বিশ্বাস করবে না।
এশিয়ানেট নিউজঃ উন্নয়নে যদি আস্থা থাকে তাহলে তাড়াহুড়ো করে এই সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, এর কী প্রয়োজন ছিল?
অমিত শাহঃ দ্রুত নয়, অনেক দেরিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদেশের সংবিধান ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণকে স্বীকৃতি দেয় না। সংখ্যালঘুরা যদি ধর্মের ভিত্তিতে ৪ শতাংশ সংরক্ষণ পায় তা বাতিল করা উচিৎ, যা আমরা করেছি। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে থাকলে তা বিবেচনা করব। সংরক্ষণ নেওয়া ও দেওয়া সংবিধানের ভিত্তিতে হওয়া উচিৎ। আমাদের সংবিধানের কোনও ধারায় যদি ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ ব্যবস্থা থাকে তবে কংগ্রেসের যে কোনও নেতার আমাকে বলা উচিত এবং তিনি যদি বলতে না পারেন, তাহলে আমরা কীসের ভিত্তিতে এটি করেছি তার ন্যায্যতা দেওয়া উচিত। আমরা এটা করেছি, আমরা যদি তেলেঙ্গানায়ও আসি, তাহলে আমরা মুসলিম সংরক্ষণের বিষয়টি বিবেচনা করব যা অসাংবিধানিক। মুসলিম সম্প্রদায়কে ওবিসি-তে সংরক্ষণ করতে হবে। শুধু মুসলিম বা হিন্দু বলে রিজার্ভেশন দেওয়া উচিত নয়। যদি কোনও সম্প্রদায় অতীত হয়ে থাকে, তবে তাদের সংরক্ষণ করা উচিত কিন্তু মুসলমান বা হিন্দুদের সংরক্ষণ করা হবে... এমনটা হতে পারে না। একটা সরকার যদি এসে বলে শুধুমাত্র হিন্দুদেরই সংরক্ষণ দেওয়া হবে তা হতে পারে। এই বিষয় নিয়ে কংগ্রেসকে জিজ্ঞাসা করা উচিৎ।