সংক্ষিপ্ত
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু আন্দোলনরত কৃষকের
হরিয়ানা সরকারের কাছে চাওয়া হল ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ
দিল্লিতে ৯টি স্টেডিয়ামে তৈরি হবে অস্থায়ী কারাগার
তবে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখানোর জন্য জায়গাও দেওয়া হয়েছে
শুক্রবার কেন্দ্রের প্রবর্তিত নয়া কৃষি আইনের প্রতিবাদে দিল্লি অভিযানে অংশ নেওয়ার সময় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক ৪৫ বছর বয়সী কৃষকের। ওই ঘটনায় আরও দুই কৃষক আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বিক্ষুব্ধ কৃষকদের দাবি, হরিয়ানা পুলিশ তাদের পথ আটকানোতেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর জন্য নিহত কৃষকের পরিবারকে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য তারা দাবি জানিয়েছে হরিয়ানা সরকারের কাছে।
এদিকে, এদিন কৃষকদের মিছিল পৌঁছেছে দিল্লিতে। কৃষকদের দাপট দেখে আগেভাগেই দিল্লির ৯টি স্টেডিয়ামকে অস্থায়ী কারাগার বানানোর জন্য অনুমতি চেয়েছে দিল্লি পুলিশ। তবে, তাদের জনসংযোগ আধিকারিক ইশ সিংঘল জানিয়েছেন, ইতিমধ্য়েই দিল্লি পুলিশ কৃষক নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছে। রাজধানীতে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য তাঁদের বুরারি এলাকার নিরঙ্করি ময়দানটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
কৃষকদের দাবি তাঁরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনই করছিলেন। কিন্তু, হরিয়ানা পুলিশ তাদের নানাভাবে প্ররোচিত করেছে। প্রবীন কৃষকদের লাঠি নিয়ে তাড়া করা হয়েছে। তাদের চলার পথে এমনভাবে ব্য়ারিকেড দেওয়া হয়েছে, যেন তাঁরা চিন বা পাকিস্তানের নাগরিক। কৃষকরা অবশ্য সেইসব বাধা মানেননি। বৃহস্পতিবা পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তে পুলিশের ব্যারিকেড নদীতে ছুঁড়ে পেলতে দেখা গিয়েছিল কৃষকদের। এদিন ব্যারিকেড হিসাবে পুলিশের রাখা ট্রাক, ট্র্যাক্টর দিয়ে চেনে সরিয়ে দিতে দেখা গিয়েছে তাঁদের।
প্রথমদিন আন্দোলনে ছিলেন মূলত পঞ্জাবের কৃষকরাই। মিছিল হরিয়ানার প্রবেশ করার পরহ যোগ দিয়েছিলেন হরিয়ানার কৃষকরাও। এদিন উত্তরপ্রদেশের কৃষকদেরও এই আন্দোলনে যোগ দিতে দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে সমাজ কর্মী মেধা পাটেকরের নেতৃত্বে মধ্যপ্রদেশ থেকেও কৃষকদের একটি দল এসে পৌঁছেছে রাজধানীর উপকন্ঠে। সব মিলিয়ে সরা দেশের ৫০০টিরও বেশি কৃষক সংগঠন এই আন্দোলনকে সমর্থন করছে।
আরও পড়ুন - এক দেশ, এক নির্বাচন - বিশ্বের কোন কোন দেশে চালু এই ব্যবস্থা, কীভাবে হয় ভোটগ্রহণ
আরও পড়ুন - দাউ দাউ করে জ্বলে গেল আইসিইউ, নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে পুড়েই মরতে হল ৫ কোভিড রোগীকে
আরও পড়ুন - এবার সংঘর্ষ হরিয়ানা-দিল্লি সীমান্তে, সকাল থেকেই শুরু কাঁদানে গ্যাসের গোলা নিক্ষেপ
এই অবস্থায় সংঘর্ষ ও হিংসাত্মক পরিস্থিতি এড়াতে এদিন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং কেন্দ্রকে অবিলম্বে কৃষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার অনুরোধ জানিয়েছেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও জানিয়েছেন তাঁর রাজ্যে কৃষকদের আন্দোলনে কোনও বাধা দেওয়া হবে না। বৃহস্পতিবারই, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছিলেন তিনি কৃষকদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করেন। সব মিলিয়ে সিএএ-এনআরসি আন্দোলনের পর ফের একবার বড়-সড় আন্দোলনের চাপে কেন্দ্রীয় সরকার।