সংক্ষিপ্ত

ব্রিটেনের নতুন করোনা কি এসে গিয়েছে ভারতে

নতুন করে বাড়ছে মহামারির ভয়

এরইমধ্যে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করল নীতি আয়োগ

পরীক্ষা চলছে দিল্লিতে আসা যাত্রীদের

 

মঙ্গলবার পর্যন্ত ভারতে নভেল করোনাভাইরাস-এর রূপান্তরিত এবং আরও সংক্রামক স্ট্রেন ভারতে দেখা যায়নি, বলে জানালো ভারত সরকার। করোনার এই নয়া রূপের প্রথম সন্ধান পাওয়া গিয়েছে যুক্তরাজ্য়ে। সেখান থেকে ইতালি ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশেও করোনার এই রূপভেদ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রাথমিক তথ্য অনুসারে নতুন রূপান্তরটি করোনার আগের রূপান্তরগুলির তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। এই স্টেন-এর জন্য়ই ব্রিটেনে এখন সংক্রমণের হার ফের বেড়েছে এবং সেইসঙ্গে কোভিড ভ্যাকসিন গুলি আদৌ কাজ করবে কিনা সেই নিয়ে বিশ্বব্যপী উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

নীতি আয়োগের অন্যতম সদস্য ডাক্তার ভি কে পাল এদিন জানিয়েছেন, 'যুক্তরাজ্যের করোনাভাইরাস-এর নতুন স্ট্রেন বা রূপান্তর ভারতে এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি'। এখন অবধি, আমাদের বিকশিত সম্ভাব্য ভ্যাকসিনগুলি এবং অন্যান্য দেশের ভ্যাকসিনগুলির কার্যকারিতার উপর এর কোনও বিরূপ প্রভাব নেই, বলেই জানিয়েছেন ডাক্তার পাল।

মঙ্গসলবার রাত থেকে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে উড়ান যোগাযোগ অস্থায়ীভাবে স্থগিত করে দিচ্ছে ভারত। ভারত ছাড়াও বিশ্বের আরও ২৫টি দেশ ব্রিটেনের সঙ্গে উড়ান যোগাযোগ বন্ধ রেখেছে। এদিন সকালে ভারত সরকার ব্রিটেন থকে আগত সকল যাত্রীদের জন্য আলাদা নির্দেশিকাও জারি করেছে। সমস্ত আগত যাত্রীদের আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা করা হবে। ইতিবাচক সনাক্ত হলেই তাদের আলাদা করা হবে। যাদের দেহে নতুন রূপান্তর পাওয়া যাবে, তাদের আলাদাভাবে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হবে। তাঁদের সংস্পর্শে আসা অন্যান্য যাত্রীদেরও কোয়ারেন্টাইন করা হবে। সংক্রামিত যাত্রীর আশপাশের তিনটি সারি যাত্রীদের, তাঁর সংস্পর্শে আসা বলে ধরা হবে।

সোমবার রাতে লন্ডন থেকে দুটি উড়ানে আসা যাত্রী পরীক্ষা করে আটজনকে করোনাভাইরাস ইতিবাচক বিসাবে সনাক্ত করা হয়েছে। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের আরও একটি বিমান এদিন দিল্লিতে নেমেছে। সেই বিমানেরও সকল যাত্রীদের কড়া পরীক্ষা করা হচ্ছে। সরকারি নির্দেশিকা বলবৎ হবে ২২ নভেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্রিটেন থেকে ভারতে আসা সকল যাত্রীদের উপর। সোমবারই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লুএইচও)-র প্রধান বিজ্ঞানী ডাক্তার সৌম্যা স্বামীনাথন জানিয়ে দিয়েছেন করোনার এই নয়া রূপান্তরটি সম্ভবত ইতিমধ্যেই অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশে পৌঁছে গিয়েছে। এরপর আর কোনও দেশই ঝুঁকি নিচ্ছে না। করোনার নতুন রূপান্তরের বাহক হিসাবে, গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্য থেকে কলকাতায় আসা যাত্রীরাও রয়েছেন সন্দেহের তালিকায়।