সংক্ষিপ্ত

মেয়েদের ঋতুচক্র নিয়ে এখনও সমাজে প্রচলিত র‍য়েছে নানা রকম ছুতমার্গ। সেই প্রচলিত প্রথা ভেঙে ঋতুকালীন মেয়েদের দূরে সরিয়ে না রেখে কাছে টেনে নেওয়ার মন্ত্র আওড়ালেন জিতেন্দ্র।

 

বেলুন দিয়ে ঘর সাজিয়ে কেক কেটে চলল ধুমধাম পার্টি। উপলক্ষ, মেয়ের প্রথম পিরিয়ড। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তরাখণ্ড। সমাজের ট্যাবু ভেঙে মেয়ের প্রথম পিরিয়ড হওয়ার দিনকে আরও স্বরণীয় করে রাখলেন উত্তরাখণ্ডের জিতেন্দ্র ভাট। এখনও যেখানে অনেকেই মহিলাদের পিরিয়ড বা ঋতুচক্র সম্পর্কে কথা বলতে লজ্জা পান সেখানে জিতেন্দ্র ভাটের এই পদক্ষেপ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য মেয়েদের ঋতুচক্র নিয়ে এখনও সমাজে প্রচলিত র‍য়েছে নানা রকম ছুতমার্গ। সেই প্রচলিত প্রথা ভেঙে ঋতুকালীন মেয়েদের দূরে সরিয়ে না রেখে কাছে টেনে নেওয়ার মন্ত্র আওড়ালেন জিতেন্দ্র।

জিতেন্দ্র ভাট কাশীপুরের একজন সঙ্গীত শিক্ষক। যৌথ পরিবারে মা-বাবা, ভাইয়ের সঙ্গেই থাকেন তিনি। জিতেন্দ্রের একমাত্র মেয়ে রাগিনীর বয়স ১৩ বছর। স্ত্রী ভাবনা সতী একজন সঙ্গীত শিক্ষক। বুধবার যখন রাগিনীর প্রথম পিরিয়ড শুরু হয়, তখন বাবা ও পরিবার মিলে একটি জমকালো পার্টির আয়োজন করেন। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সবাই আমন্ত্রিত। একটি হল বুক করা হয়েছিল যা সাদা এবং গোলাপী বেলুন দিয়ে সজ্জিত ছিল। রাগিনীর এই দিনটিকে স্বরণীয় করার জন্য বাবা-মা এসব করেছেন। সমাজকে একটা বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তাঁরা, যে পিরিয়ড কোনো রোগ নয়, নারীর জীবনের একটি অংশ।

তবে এই পার্টির আয়োজন খুব সহজ হয়নি। প্রথমেই পিরিয়ড থিমে ডিজাইন করা কেক আনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছিল জিতেন্দ্রকে। জিতেন্দ্র যখন কেক প্রস্তুতকারককে কেকের গায়ে ‘হ্যাপি পিরিয়ড রাগিনী’ লিখতে বলল, তখন তিনি অদ্ভুত ভঙ্গিতে উত্তর দেন। সে তাদের দিকে অদ্ভুত দৃষ্টিতে দেখতে লাগলো আর বললো- আমি এই প্রথম এমন কেক বানাচ্ছি। রাগিনীর পিরিয়ড পার্টির ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন জিতেন্দ্র। লিখেছেন 'মেয়ে বড় হয়েছে' শুভ জন্মদিন...। শুধু তাই নয়, জিতেন্দ্র তার সমস্ত বন্ধু ও রাগিণীর বন্ধুদের বলেছিল যে যারা আসবে তারা যেন রাগিনীকে উপহার দেয়।