ফরিবাদাকাণ্ডে কাশ্মীর পুলিশের নজরে রয়েছে এক মহিলা চিকিৎসক। জানা গিয়েছে ওই মহিলা চিকিৎসক ফরিদাবাদের আল ফালাহ হাসপাতালে কর্মরত।। 

ফরিদাবাদ থেকে শুধুমাত্র আরডিএক্স তৈরির ৩৬০ কেজি মশলা নয়, সবমিলিয়ে ২৯০০ কেজি বিস্ফোরক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ফরিদাবাদ-কাণ্ডে বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। ফরিদাবাদ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩৬০ কেটি বিস্ফোরক। হরিয়ানা পুলিশ আগেই জানিয়েছে এই বিস্ফোরক অ্যামোনিয়া নাইট্রেট হতে পারে। এটি আরডিএক্স তৈরির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

পুলিশের নজরে মহিলা চিকিৎসক

ফরিবাদাকাণ্ডে কাশ্মীর পুলিশের নজরে রয়েছে এক মহিলা চিকিৎসক। জানা গিয়েছে ওই মহিলা চিকিৎসক ফরিদাবাদের আল ফালাহ হাসপাতালে কর্মরত।। তাঁর গাড়ির ডিকি থেকেই উদ্ধার হয়েছে পিস্তল, অ্যাসাল্ট রাইফেল-সহ প্রচুর অস্ত্র। সন্দেহজনক এই মহিলা চিকিৎসক ফরিদাবাদকাণ্ডে ধৃত মুজাম্মিল সাকিলের সহকর্মী। কিন্তু এই মহিলার আর কোনও সন্ধান পায়নি পুলিশ।

পুলিশের অভিযান

প্রথমে ডঃ আদিলকে ট্র্যাক করা হয় । পুলিশ সূত্রের খবর তিনি শ্রীনগরের দেওয়ালে দেওয়ালে জইশের সমর্থনে পোস্টাল সাঁটাচ্ছিলেন। সেই সময়ই তাঁকে পাকড়াও করা হয়। তারপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে আরেক ডাক্তার, ডঃ মুজাম্মিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুজনের থেকে পাওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই দিল্লির অদূরে ফরিদাবাদে একটি বাড়িতে হানা দেয় জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। উদ্ধার করা হয় ৩৬০ কেজি বিস্ফোরক এবং বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র। ২০টি বোমার টাইমার, রিমোট এবং ওয়াকিটকিও ছিল ওই বিস্ফোরকের সঙ্গে। কাশ্মীর পুলিশ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এর সঙ্গে জইশ জঙ্গিদের যোগ রয়েছে। এ ছাড়া, আনসার ঘাজ়ওয়াত-উল-হিন্দ নামের আর এক পাকিস্তানি গোষ্ঠীর খোঁজও মিলেছে।

কাশ্মীরে নাশকতা!

পুলিশের তদন্তে যে তথ্য উঠে এসেছে তা হল কাশ্মীরে নাশকতার উদ্দেশ্যে বর্তমানে সক্রিয় রয়েছে একদল জঙ্গি গোষ্ঠী। তারা সেবামূলক কাজের আড়ালে অর্থ সংগ্রহ করছে। তা দিয়েই অস্ত্র ও বিস্ফোরক কিনছে। আর সেগুলি সরবরাহ করছে। ধীরে ধীরে সদস্য সংখ্যাও বাড়াচ্ছে। ইতিমধ্যেই সন্দেহভাজন হিসেবে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরিফ নিসর দার, ইয়াসির-উল-আসরফ, মকসুদ আহমেদ দার, ইরফান আহমেদ, জ়ামির আহমেদ, চিকিৎসক আদিল এবং চিকিৎসক মুজ়াম্মিল আহমেদ।

এই সংক্রান্ত তদন্তের জন্য কাশ্মীরের শ্রীনগর, অনন্তনাগ, সোপিয়ানে তল্লাশি চালানো হয়েছে। এ ছা়ড়া, হরিয়ানা পুলিশের সহযোগিতায় ফরিদাবাদে এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সহযোগিতায় সাহারানপুরে হানা দিয়েছেন কাশ্মীরের তদন্তকারীরা। আইইডি তৈরির মোট ২৯০০ কেজি উপাদান এই সমস্ত জায়গা থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মিলেছে একাধিক পিস্তল এবং একে২৭ রাইফেল।