সংক্ষিপ্ত
এদিন সরাসরি না বললেও বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর রাহুল গান্ধীর বারবার বিদেশ সফরকেই কটাক্ষ করেছেন। বিজেপির নেতা মন্ত্রীদের অভিযোগ দেশের যখন প্রয়োজন তখনই রাহুল গান্ধী বিদেশে চলে যান ছুটি কাটাতে। দেশের সমস্যা সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহান নন।
সংসদে (Parliament) রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেলন বিদেশ মন্ত্রী এক জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, 'প্রজাতন্ত্র দিবসে (Republic Day) আমাদের দেশে এবার বিদেশী অতিথিরা আসতে পারেননি। যাঁরা ভারতে থাকেন তাঁরা জানেন এই আমাদের দেশে সেই সময় করোনাভাইরাসের তৃতীয় তরঙ্গ আছড়ে পড়েছিল।' তারপরই তিনি বলেন এই বছর প্রজাতন্ত্র দিবসে মধ্য এশিয়া থেকে পাঁচ জন রাষ্ট্রপতি ভারতে আমন্ত্রিত ছিলেন। তাঁরা ২৭ জানুয়ারি একটি ভার্চুয়াল সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু রাহুল গান্ধী সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
এদিন সরাসরি না বললেও বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর রাহুল গান্ধীর বারবার বিদেশ সফরকেই কটাক্ষ করেছেন। বিজেপির নেতা মন্ত্রীদের অভিযোগ দেশের যখন প্রয়োজন তখনই রাহুল গান্ধী বিদেশে চলে যান ছুটি কাটাতে। দেশের সমস্যা সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহান নন।
এদিন সংসদে রাহুল গান্ধী মোদী সরকারের বিদেশ নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ভারতের উচিৎ চিন ও পাকিস্তানকে দূরে রাখা। কিন্তু সেটি করতে ভারত ব্যর্থ হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর নীতির জন্য চিন ও পাকিস্তান কাছাকাছি এসেছে। এটি কৌশলগত একটি ভুল ছাড়া আর কিছুই নয়। এদিন রাহুল গান্ধী কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা লোপের কথাও উল্লেখ করেন তাঁর ভাষণে। তিনি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করা বড় ভুল এই সরকারে।
এদিন রাহুল গান্ধী আরও বলেন, প্রজাতন্ত্র দিসবে এবার দেশে কোনও বিদেশী অতিথি ছিল না। কারণ ভারত প্রতিবেশীদের থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তবে ভারতকে ঘিরে রয়েছে নেপাল, আফগানিস্তান ও চিন। এটি ভারতের জনগণের বিরুদ্ধে একটি অপরাধ। তিনি আরও বলেনস চিন ও পাকিস্তান পরিকল্পনা করেছে। প্রতিবেশী এই দেশদুটি অস্ত্র সম্ভারও ক্রমশই বাড়াচ্ছে। যা যুদ্ধের হুমকি ডেকে আনছে। তিনি আরও বলেন এটি শুধুমাত্র যে বাহ্যিক হুমকি তা নয়। দেশ ভিতর থেকে দুর্বল হয়ে পড়েছে।