সংক্ষিপ্ত
কংগ্রেস বিরোধী জোট রাজনীতিতে অন্যতম মুখ ছিলেন একটা সময়ে শরদ যাদব। একটা সময় বিজেপি-র প্রতি দূর্বল থাকলেও অটল পরবর্তী বিজেপি-নিয়ে ছিল ঘোর আপত্তি। শেষ বয়সে এসে দল বিরোধী কাজের জন্য বহিষ্কৃত হতে হয়েছিল জেডিইউ-থেকে।
চলে গেলেন ভারতীয় রাজনীতির নব্বই দশকের আরও এক মূল্যবান চরিত্র শরদ যাদব। কংগ্রেস বিরোধী শক্তিতে জোট সরকার আনতে যে কয়েকজন খুব পরিচিত মুখ ছিলেন, তার অন্যতম এই শরদ যাদব। বরাবরই ভারসাম্যের রাজনীতিতে একটা নাম ছিলেন তিনি। যতটা না জন নেতা হয়েছিলেন তার থেকে বেশি ছিলেন রাজনৈতিক দলগুলির ঐক্যের অনুঘটক। এহেন শরদ যাদবের প্রয়াণের খবর প্রথম মেলে ফেসবুকের মাধ্যমে। কন্যা সুভাষিণী-এক ফেসবুক পোস্টে জানান যে বৃহস্পতিবার প্রয়াত হয়েছেন শরদ যাদব।
সুভাষিণী ফেসবুক পোস্টে লেখেন, 'আমার বাবা আর নেই।' মোট ৭ বার লোকসভার সদস্য ছিলেন শরদ যাদব। এছাড়াও সংযুক্ত জনতা দলের প্রতিনিধি হিসাবে ৩ বার রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সংযুক্ত জনতা দলের তিনি প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি ২০০৩ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ওই পদে আসীন ছিলেন। কিন্তু, এহেন শরদ যাদবকে দল বিরোধী কাজের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল। কারণ তিনি বিজেপি-র সঙ্গে জেডিইউ-এর বারবার জোট নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। নীতীশ কুমার এবং তাঁর অনুগামীদের কাছে পরাস্ত হতে হয়েছিল শরদ যাদবকে। বাতবিতণ্ডায় শরদের বিরুদ্ধে দল বিরোধী কাজের অভিযোগ ওঠে। আর তারই সূত্র টেনে বহিষ্কার করে দেওয়া হয় শরদ যাদবকে। এরপর তিনি রাষ্ট্রীয় জনতা দল বা আরজেডি-তে যোগ দেন।