সংক্ষিপ্ত

অ্যাডভোকেট অজয় শ্রীবাস্তব দাউদের আগে যে সম্পত্তি কিনেছেন তারমধ্যে রয়েছে, মুম্বইয়ে দাউদের বাড়ি, যেখানে সে ছোটবেলায় থাকত, জন্মগ্রহণ করেছিল- মোটকথা জন্মভিটে।

 

ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি দাউদ ইব্রাহিমের চারটি সম্পক্তি আগামিকাল, শুক্রবার নিলামে তোলা হবে। চারটি সম্পত্তি তাঁর পৈতৃক সম্পত্তির অন্তর্ভুক্ত। কোটি টাকার সম্পত্তির বিডিং মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ১৯ লক্ষ টাকা। এই সম্পত্তি রয়েছে মহারাষ্ট্রের রত্নাগিরি ডেলার মুম্বাকে গ্রামে যাইহোক ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নিলামের জন্য দরদাতাদের নাম এখনও পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি। প্রাক্তন শিবসেনা সদস্য ও আইনজীবী শ্রীবাস্তব এই দরদাতাদের মধ্যে রয়েছে। এই ব্যক্তি আগেও এজাতীয় নিলামে অংশ নিয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই দাউদের তিনটি জমি নিলাম থেকে কিনেছেন অজয় শ্রীবাস্তব।

অ্যাডভোকেট অজয় শ্রীবাস্তব দাউদের আগে যে সম্পত্তি কিনেছেন তারমধ্যে রয়েছে, মুম্বইয়ে দাউদের বাড়ি, যেখানে সে ছোটবেলায় থাকত, জন্মগ্রহণ করেছিল- মোটকথা জন্মভিটে। ১৯৯৩ সালের বোমা বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড দাউদ ইব্রাহিম। তাই দাউদের মুম্বইয়ের বাড়ি অজয় শ্রীবস্তব কিনলেও তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত আইনি জটিলতা রয়েছে। এখনও হাতে সম্পত্তির অধিকার পাননি শ্রীবাস্তব। তিনি অবশ্য মনে করেন দ্রুত এই সম্পত্তির মালিকানা তিনি পেয়ে যাবেন। ২০২০ সালেই অজয় একটি বাংলো কিনেছিলেন। সেটি একটি সনাতন ধর্ম পাঠাশালা ট্রাস্টের হাতে তুলে দিয়েছেন। যদিও এখনও বিদ্যালয় নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি।

৫ জানুয়ারি দাউদ ইব্রাহিমের যেসব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেগুলোর নিলাম হবে। মুম্বাইয়ে চারটি পার্সেল জমি নিলাম করা হবে। এটি স্মাগলার এবং ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানিপুলেটর অ্যাক্ট ১৯৭৭ এর অধীনে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। এর জন্য রিজার্ভ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯.২২ লক্ষ টাকা।

মুম্বই হামলার মাস্টার মাইন্ড দাউদ ইব্রাহিম। দীর্ঘ দিনই ভারত ছাড়া। পাকিস্তানে রয়েছে। দুবাইতেও যাতায়াত রয়েছে। র থেকে শুরু করে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা দাইদকে ধরার ফাঁদ পেতেছে। কিন্তু করাচিতে পাকিস্তানের প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তায় দিব্য রয়েছে দাউদ। সঙ্গে রয়েছে তার পরিবারও। ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি হিসেবেও তার নাম রয়েছে।