সংক্ষিপ্ত
- ফের বাড়ল জ্বালানির দাম
- কলকাতায় পেট্রোলের দাম ২৮ পয়সা বেড়েছে
- পেট্রোলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭ টাকা ১২ পয়সা
- ডিজেলের দাম বেড়ে হয়েছে ৯০ টাকা ৮২ পয়সা
ফের বাড়ল জ্বালানির দাম। দু-একদিন অন্তর রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়িয়ে চলেছে। এর আগে শুক্রবার তেলের দাম বেড়েছিল। তারপর ফের রবিবার বাড়ল তেলের দাম। আজ কলকাতায় লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ২৮ পয়সা ও ডিজেলের দাম ২৮ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে, পেট্রোলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে লিটার প্রতি ৯৭ টাকা ১২ পয়সা। আর লিটার প্রতি ডিজেলের দাম বেড়ে হয়েছে ৯০ টাকা ৮২ পয়সা।
আরও পড়ুন- কোভিডে কলকাতায় একদিনে মৃত্যু কমে ৯, সুস্থতার হার বাড়ল কি
অন্যদিকে মুম্বইতে আজ লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৩ টাকা ৩৬ পয়সা। আর ডিজেলের দাম ৯৫ টাকা ৪৪ পয়সা। দিল্লিতেও সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছে পেট্রোলের দাম। আজ সেখানে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭ টাকা ২২ পয়সা। আর ডিজেলের দাম ৮৭ টাকা ৯৭ পয়সা। তালিকায় পিছিয়ে নেই চেন্নাই। সেখানে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮ টাকা ৪০ পয়সা। ডিজেলের দাম ৯২ টাকা ৫৮ পয়সা।
দেশের মধ্যে ভোপালে পেট্রোলের দাম সর্বোচ্চ। আজ সেখানে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৫ টাকা ৩৩ পয়সা। আর ডিজেলের দাম ৯৬ টাকা ৬৫ পয়সা। এছাড়া রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলাঙ্গানা, কর্নাটকের মতো রাজ্যে ইতিমধ্যেই পেট্রোলের দাম ১০০টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দেশের আর্থিক অবস্থা বেহাল। এই পরিস্থিতিতে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। আর তার মধ্যে দু-একদিন অন্তর তেলের দাম বাড়তে থাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামও ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। খুচরো বাজারের বিভিন্ন পণ্যের দামও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে মধ্যবিত্তের মাথায় হাত পড়েছে।
আরও পড়ুন- RMD তুললে অথৈ জলে পড়বে রাজ্যের ২ রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান, মমতাকে চিঠি বাংলাপক্ষের
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সম্প্রতি বলেছেন, "মানছি জ্বালানির দামবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু একবছরে ৩৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে করোনার টিকার জন্য। এই কঠিন পরিস্থিতিতে কল্যাণমূলক প্রকল্পের জন্য আমরা অর্থ সঞ্চয় করছি।"
অন্যদিকে, অর্থনীতিবিদদের একাংশের যুক্তি, একটা স্তরে সরকারের উচিত দাম নিয়ন্ত্রণ করা। তাঁদের মতে, এটা জরুরি পণ্য। এর সঙ্গে বাজারের অন্য পণ্যের দামের ওঠানামা যুক্ত। এর দায় এড়াতে পারে না সরকার। একটা স্তরে দাম নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।