সংক্ষিপ্ত

কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেটে বরাদ্দ ছিল ৯৯০ কোটি টাকা। কিন্তু এই সম্মেলন আয়োন করতে খরচ হয়েছে ৪,১০০ কোটি টাকা।

জি২০ সম্মেলন আয়োজনে বরাদ্দের বেশি খরচ, মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেটে বরাদ্দ ছিল ৯৯০ কোটি টাকা। কিন্তু এই সম্মেলন আয়োন করতে খরচ হয়েছে ৪,১০০ কোটি টাকা। এই অতিরিক্ত টাকা ঠিক কোথা থেকে আসছে সেবিষয় প্রশ্ন তুলছে হাত শিবির। একদিকে জি২০ সম্মেলনকে অজুহাত করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজের পচার চালাচ্ছেন বলে আগেই অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। এরমধ্যেই আবার কংগ্রেসের অভিযোগ শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি তৈরিতেই কোট কোটি টাকা ব্যায় করেছেন তিনি।

উল্লেখ্য জি২০ সম্মেলন আয়োজনের জন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন গত ১ ফেব্রুয়ারি বাজেটে ৯৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলেন। অথচ সরকারি হিসেব অনুযায়ী ব্যায় করা টাকার অঙ্কটা হল ৪,১০০ কোটি টাকা। এই বিপুল অতিরিক্ত টাকার উৎস ঠিক কী সে বিষয় প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস অন্যদিকে ইতিমধ্যেই জি২০ সম্মেলনের সাফল্যের কৃতিত্ব নরেন্দ্র মোদীকে দিতে অমিত শাহ, জে পি নড্ডার নেতৃত্বে বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা মাঠে নেমে পড়েছেন। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের সাংগঠনিক সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল বলেছেন,'এই সরকার মানুষের জন্য রান্নার গ্যাস, পেট্রল-ডিজেলের বন্দোবস্ত করতে পারে না, কৃষককে ক্ষতিপূরণ দিতে পারে না। দুর্যোগের কারণে হওয়া হিমাচলের ক্ষয়ক্ষতি মেরামত করতে পারে না, অথচ ভাবমূর্তি তৈরিতে ১০ গুণ বেশি টাকা খরচ করতে পারে। সৌন্দর্যায়নে অর্থনৈতিক অবক্ষয় ঢাকা যাবে না।'

আটত্রিশ বছর পর G-20 সম্মেলনে, ভারত অন্তর্ভুক্তির জন্য ইতিহাসে নিজের নাম খোদাই করল। এটা আফ্রিকান ইউনিয়নগুলির জন্য G-20-র সদস্য হওয়াও সম্ভব করেছে। আফ্রিকান ইউনিয়ন G-20-তে প্রবেশের ফলে এখন G-21 হয়ে উঠেছে এবং ৩ ট্রিলিয়ন ডলারেররও বেশি অর্থনীতির ১.৪ বিলিয়নেরও বেশি মানুষের উদ্বেগের বিষয়ে সচেতন। এটি ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক, যেখানে ভারত নেতৃত্ব দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গোটা বিশ্বকে মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, কোভিড -১৯ মহামারীর সময় বিশ্বে আস্থার ঘাটতি তৈরি হয়েছিল এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দ্বারা তা আরও বেড়ে গিয়েছিল। এই সন্দেহের অনুভূতি তখনই দূর হতে পারে যখন বিশ্ব শান্তি ও সহানুভূতির সম্মিলিত মূল্যবোধ গ্রহণ করবে।