সংক্ষিপ্ত
দী বলেন ভারত পরিচ্ছন্ন শক্তি ও পরিবেশের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ২০২৩ সালের মধ্যে ভারতের অর্ধক বিদ্যুৎ পুনর্নবিকরণে যোগ্য উৎস থেকে উৎপাদিত হবে। যার মূল্য অনেকটাই কম হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।
কূটনীতির মাধ্যমে রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বের সমাধানের ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরই সঙ্গে মোদী বলেছেন, শক্তি সরবরাহের ওপর যাতে কোনও বিধিনিষেধ আরোপ ও প্রচার না করা হয় তারও প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
ইন্দোনেশিয়ায় মঙ্গলবার জি২০ সম্মেলনে ভাষণ দিয়েছেন তিনি। জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের একটি ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদী জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড-১৯ মহামারি, ইউক্রেনের উন্নয়েনের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী সাধারণ সমস্যাগুলির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তিনি বলেছেন বর্তমান অস্থির সময়ের কারণে বেশি কিছু সবরাহ লাইন বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে বা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাতে সমস্যা আরও বাড়ছে।
ভারতের শক্তি-নিরাপত্তা বৃদ্ধি বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি বিশ্বের সবথেকে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি বলেও দাবি করেন তিনি। বলেন, 'আমাদের শক্তি শরবরাহের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা উচিত নয়। এবং শক্তি বা এনার্জির বাজারে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা জরুরি।' মোদী যখন এই বক্তব্য রাখছেন তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন যুযুধান রাশিয়া-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান পুতিন ও বাইডনে। সঙ্গে ছিলেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের।
এদিন মোদী বলেন ভারত পরিচ্ছন্ন শক্তি ও পরিবেশের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ২০২৩ সালের মধ্যে ভারতের অর্ধক বিদ্যুৎ পুনর্নবিকরণে যোগ্য উৎস থেকে উৎপাদিত হবে। যার মূল্য অনেকটাই কম হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন ভারতের মত উন্নয়নশীল দেশগুলির কাছে এনার্জি বা শক্তি শরবরাহ অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি একটি চ্যালেঞ্জিং অবস্থার মধ্যে জি২০ সামিটের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ইন্দোনেশিয়ার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী জলবায়ু, পরিবর্তন, কোভিড মহামারির পরই রাশিয়া - ইউক্রেন অস্থির অবস্থা গোটা বিশ্বকেই সমস্যার মুখে দাঁড় করিয়ে দেয়েছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন এইসব কারণগুলির জন্য একসঙ্গে বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। যা গ্লোবাল সাপ্লাই চেইনকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, সারা বিশ্বে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের চরম সংকট রয়েছে। প্রতিটি দেশের দরিদ্র নাগরিকদের এই সময় যথেষ্ট কঠিন। দৈনন্দিন জীবন অতিবাহিত করা তাদের জন্য বর্তমানে একটি কঠোর সংগ্রামের পথ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মোদী আরও বলেন, ইউক্রেন সংঘাত বর্তমানে সাংঘাতিক হয়ে দাঁড়িয়েচে। আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের জন্য বারবার দুটি দেশকেই আহ্বান জানান হচ্ছে বলেও বলেন তিনি। মোদী বলেন ইউক্রেন সমস্যা যুদ্ধবিরতি ও কূটনৈতিক পথেই সমাধান করতে হবে। কথা প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করে গত শতাব্দী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে ধ্বংসলীলা দেখেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বশান্তি , সম্প্রীতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দৃঢ় ও সম্মিলত সংকল্পের প্রয়োজন। তিনি বলেন আগামী বছর জি২০ সামিট বুদ্ধ ও গান্ধীর পবিত্র ভূমিতে অনুষ্ঠিত হবে। যা সবাইকে বিশ্বকে শান্তির পথ দেখাবে।
আরও পড়ুনঃ
শ্রদ্ধার দেহ ফ্রিজে পচছে তখনও ফ্ল্যাটে নতুন বান্ধবীর আসা-যাওয়া , আফতাবকে নিয়ে দেহের অংশ খুঁজছে পুলিশ