সংক্ষিপ্ত
ওডিশার কটকের এই কাহিনী যে কোনও বলিউড চিত্রনাট্যকে হার মানাবে। ওড়িশার কটকের বাসিন্দা পায়েল এবং আকাশের ভালবাসার সম্পর্ক মাস ছয়েকের।
পাত্র ছিল গৃহশিক্ষক। সেই গৃহশিক্ষককে বাড়ির জামাই হিসেবে মেনে নিতে চাননি ছাত্রীর বাবা মা। আর বাবা মায়ের মত পাবে না জেনেই বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করলেন গৃহশিক্ষক আকাশ ও তাঁর ছাত্রী পায়েল। গল্পটা এই অবধি হলে খুব একটা অবাক হওয়ার থাকত না। তবে কাহানি মে টুইস্ট হ্যায়। গল্পের শুরু এরপর থেকে। জীবিত মেয়ের এ হেন কান্ডে হতবাক বাবা মায়ের দাবি তাঁদের মেয়ে আর বেঁচে নেই, বাবা মায়ের কাছে সে মৃত। ফলে ঘটা করে শ্রাদ্ধ শান্তি হল সেই জীবিত মেয়ের।
ওডিশার কটকের এই কাহিনী যে কোনও বলিউড চিত্রনাট্যকে হার মানাবে। ওড়িশার কটকের বাসিন্দা পায়েল এবং আকাশের ভালবাসার সম্পর্ক মাস ছয়েকের। স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে খবর, আকাশ পড়াতে আসতেন পায়েলকে। সেখান থেকেই প্রেম হয় দু'জনের। কিন্তু পায়েলের বাড়ির লোকেদের আকাশকে পছন্দ ছিল না একেবারেই। পায়েলকে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্যেও চাপ দেওয়া হচ্ছিল। তাতে কাজ না হওয়ায় পায়েলের বাবা বিশ্বজিত্ মহাপাত্র আকাশের নামে মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ জানান। অভিযোগ পেয়ে কটক পুলিশ আকাশকে গ্রেফতার করে। কিছু দিন আগেই জামিনে ছাড়া পেয়ে বাড়ি এসেছিল আকাশ। তার পরেই দেরি না করে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেন দু'জনে।
মেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছে শুনেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পায়েলের বাবা-মা। পায়েল আগেই জানতেন তাঁর বিয়ের খবর স্বাভাবিক ভাবে নেবেন না বাবা-মা। তাই আগেভাগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবা-মায়ের উদ্দেশে একটি ভিডিয়ো বার্তায় পায়েল বলেন ''আমি প্রাপ্তবয়স্ক। সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছাতেই বিয়ে করেছি। আমার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির কোনও ক্ষতি তোমরা করবে না। না হলে আমি নিজের ক্ষতি করতে বাধ্য হব।''
পায়েলের এই ভিডিও তাঁর বাবা-মায়ের কাছে পৌঁছয়। মেয়ের ১৮ বছর হয়ে যাওয়ায় পুলিশের কাছে গিয়ে কোনও লাভ হবে না তাঁরা জানতেন। কিন্তু এই বিয়েও তাঁরা মেনে নিতে চান না। তাই মেয়েকে মৃত ধরে নিয়ে পুরোহিত ডেকে জীবন্ত মেয়ের শ্রাদ্ধ করলেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।