সংক্ষিপ্ত

গিরিশ চোদাঙ্কর রবিবার অভিযোগ করেছেন, কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি শিবিরে যোগ দেওয়ার জন্য বিধায়ক প্রতি ৪০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা দিগম্বর কামাতের নেতৃত্বে ৬ বিধায়ক বিদ্রোহ শুরু করেছে।

গোয়ায় রীতিমত সংকটে কংগ্রেস। আবারও ভাঙতে চলেছে শতাব্দী প্রচীন দলটি। কিন্তু তারই মধ্যে রীতিমত বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন গোয়া কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধান। গিরিশ চোদাঙ্কর রবিবার অভিযোগ করেছেন, কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি শিবিরে যোগ দেওয়ার জন্য বিধায়ক প্রতি ৪০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা দিগম্বর কামাতের নেতৃত্বে ৬ বিধায়ক বিদ্রোহ শুরু করেছে। সূত্রের খবর বিদ্রোহী বিধায়করা গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে তলে তলে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। 

ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুযায়ী কংগ্রেস নেতা চোদাঙ্করের মতে শিল্পপতি ও কয়লা মাফিয়ারা কংগ্রেস বিধায়কদের ফোন করেছিলেন। তাঁরাই কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। গোয়ার বেশ কিছু কংগ্রেস বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। 

তবে গোয়া বিজেপি অবশ্য এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। বিজেপি রাজ্যসভাপতি সদানন্দ তানাভদে ইন্ডিয়া টুডেকে জানিয়েছেন কংগ্রেস বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ ও তাদের টাকা পয়সার প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তিনি আরও বলেন কংগ্রেস এর আগে একাধিকবার এই অভিযোগ করেছেন। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই বলেও দাবি করা হয়েছে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। 

যদিও এদিন গোয়া কংগ্রেস দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ দলের বিরোধী দলনেতা মাইকেল লোবোকে বিরোধী দলনেতার পদ থেকে বরখাস্ত করেছে। সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে দলবিরোধী চক্রান্তের সঙ্গে যুক্ত ছিল কংগ্রেসের দুই নেতা দিগম্বর কামাত ও মাইকেল লোবো। দুজনেই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করছিল। দুজনেই নিজেদের স্বার্থে কাজ করেছিল বলেও জানান হয়েছে কংগ্রেসের তরফ থেকে। 

সূত্রের খবর কংগ্রেসের পাঁচ বিধায়ক গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে রয়েছে। যেসব বিধায়করা দল বদল করতে পারে তারা হল- মাইকেল লোবো, ডেলিলা লোবো, দিগম্বর কামাত, কেদার নায়েক এবং রাজেশ ফলদেসাই। তবে তালিকায় রয়েছে সাত বিধায়কের নাম। 

৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশানাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের আসন সংখ্যা ২৫। আর কংগ্রেসের মাত্র ১১ জন বিধায়ক। কংগ্রেসেই সেখানে বিরোধী দল। যদি কংগ্রেসের সাত বিধায়ক দল বদল করে তাহলে কংগ্রেস বিরোধী দলের মর্যাদাও হারাতে পারে।  গোয়ায় এর আগে ২০১৯ সালে কংগ্রেস ভেঙেছিল সেই সময় দলের বেশিরভাগ বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছিল কংগ্রেস। আগের থেকে শিক্ষা নিয়ে এই বছর কংগ্রেস সমস্ত বিধায়কদেরই দল পরিবর্তন না করা ও আনুগত্যের প্রতিশ্রুতি নিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও দল বদলের লাইনে রয়েছে কংগ্রেসের সাত বিধায়ক। 

আরও পড়ুনঃ

শ্রীলঙ্কার মানুষের পাশে রয়েছে ভারত, দ্বীপরাষ্ট্রের গণবিক্ষোভ নিয়ে বিবৃতি অরিন্দম বাগচীর

গোয়ায় ভাঙনের মুখে কংগ্রেস, বিজেপি যাওয়ার লাইনে দলের সাত বিধায়ক

এখনও মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেন সুস্মিতা সেন, মেয়েদের নিয়েই বিলাসবহুল জীবন কাটান তিনি