সংক্ষিপ্ত
শ্রীলঙ্কার এই কঠিন সময় ভারত শ্রীলঙ্কার পাশে রয়েছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রককের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি।
শ্রীলঙ্কার এই কঠিন সময় ভারত শ্রীলঙ্কার পাশে রয়েছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রককের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। তিনি বলেছেন, ভারত শ্রীলঙ্কার সবথেকে কাছের প্রতিবেশী দেশ । দুই দেশের মধ্যে সভ্যতাগত বন্ধন দীর্ঘ দিনের। তিনি আরও বলেছেন, শ্রীলঙ্কার জনগণ বর্তমান সময় কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে। গোটা বিষয়টি সম্পর্কে ভারত সচেতন রয়েছে। পাশাপাশি ভারত শ্রীলঙ্কার জনগণের পাশে রয়েছে। কারণ তারা একটি কঠিন সময় অতিক্রম করার চেষ্টা করছে।
বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে বলা হয়েছে ভারত বরাবরই প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখায় বিশ্বাসী। শ্রীলঙ্কার এই অর্থনৈতিক সংকটের সময়ও ভারত পাশে থেকেছে। ৩.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক সহায়তা দিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রটিকে। ভারত শ্রীলঙ্কার বর্তমান পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে অনুসরণ করছে। ভারতের শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছে। কারণ তারা গণতান্ত্রিক উপায়, মূল্যবোধ ও প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান ও সাংবাধিনিক কাঠামোর মাধ্যমে নিজেদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে।
গণবিক্ষোভে উত্তাল শ্রীলঙ্কা। এখনও পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের সরকারি বাসভবনের দখল ছাড়েনি আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীরা প্রেসিডেন্টের বাড়ি ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ। একটি দল সরকারি এই বাড়র মধ্যেই একটি উচ্চ নিরাপত্তা বলয়ে মোড়া বাঙ্কারার সন্ধান পয়েছে। শ্রীলঙ্কার সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী প্রেসিডেন্টের বাড়ি থেকে আন্দোলনকারীরা কয়েক লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে আন্দোলনকারীরা উদ্ধার হওয়া টাকা গুণছে। উদ্ধার হওয়া টাকা তারা দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার বিষয় আলোচনা করছে বলেও দাবি করা হয়েছে একটি সংবাদ মাধ্যমে। আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে তারা সমস্ত টাকাই নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে তুলে দেবে।
অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে আগেই ইস্তফা দিয়েছিলেন রনিল বিক্রমাসিংহে। কিন্তু তারপরেও তিনি রেহাই পাননি উন্মত্ত জনতার হাত থেকে। কারণ কলম্বোতে তাঁর নিজের বাড়িতেই আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল উত্তেজিত জনতা এই অবস্থায় শ্রীলঙ্কা সরকারের আরও মন্ত্রী ধন্মিকা পেরেরা রবিবার বিনিয়োগ প্রচার মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। গত দুই দিনের অস্থিরতার মধ্যেই পদত্যাগ করেছিলেন হারিন ফার্নান্দো, মানুশা নানায়ক্কারা ও বন্দুলা গুনাওয়ার্দেনা। ধন্মিকা হলেন চতুর্থ মন্ত্রী যিনি নিজের পদ ছাড়লেন। শ্রীলঙ্কার সেনা প্রধান দেশের মানুষের কাছে শান্তির আবেদন জানিয়েছেন।