সংক্ষিপ্ত

পুজোর আগেই সুখখবর কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য। চার শতাংশ ডিএ বা মহার্ঘ্যভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। আর তাতেই রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মধ্যে ফারাক বেড়ে গেল অনেকটাই। অন্যদিকে বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মীদের নিজেদের প্রাপ্য ডিএ আদায়ের জন্য যেতে হচ্ছে হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট। যা নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে বিদ্বেষ ক্রমশই বাড়ছে। 

পুজোর আগেই সুখখবর কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য। চার শতাংশ ডিএ বা মহার্ঘ্যভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। আর তাতেই রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মধ্যে ফারাক বেড়ে গেল অনেকটাই। অন্যদিকে বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মীদের নিজেদের প্রাপ্য ডিএ আদায়ের জন্য যেতে হচ্ছে হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট। যা নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে বিদ্বেষ ক্রমশই বাড়ছে। 

ফের ডিএ বাড়ছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের। সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশে আরও চার শতাংশ ডিএ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে মোদী সরকার। যাতে আরও ফারাক বাড়ল রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মধ্যে। এতদিন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা মূল বেতনের ৩৪ শতাংশ হারে ডিএ পেতেন। সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বর্তমানে তারা ডিএ পাবেন মূল বেতনের  ৩৮ শতাংশ হারে। অন্যদিকে রাজ্য সরকারি কর্মীরা বর্তমানে মূল বেতনের ৩ শতাংশ হারে ডিএ পান। ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী এতদিন রাজ্যের সঙ্গে ডিএ-র ফারাক ছিল ৩১ শতাংশ। কিন্তু সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকার নতুন করে আরও ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করায় রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ডিএ -র ফারাক হল ৩৮ শতাংশ।  

রাজ্য সরকার ডিএ না বাড়ানোয় বর্তমানে রীতিমত উষ্মা প্রকাশ করেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। কারণ রাজ্য সরকারের থেকে ডিএ - দখলের লড়াই দীর্ঘ দিনের। কয়েক বছর ধরে ডিএ নিয়ে মামলা চলছে। কোর্টের রায়ের পরেও এখনও রাজ্য সরকারি ডিএ দিতে নারাজ। হাইকোর্টের পরে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে বলেও নবান্ন সূত্রের খবর। 

অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার ডিএ ঘোষণা পরই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন 'রাজনীতিতে এগিয়ে বাংলা, কিন্তু উন্নয়নে পিছিয়ে বাংলা।' কেন্দ্রীয় সরকারে অনুসরণ করার পরামর্শও দেন দিলীপ ঘোষ। অন্যদিকে সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন রাজ্য সরকারি রাজ্যের কর্মীদের সঙ্গে বঞ্চনা করছেন। কোর্টের রায়ের পরেও ডিএ দিতে চাইছেন না। এটা মেনে নেওয়া যায় না। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাষ ঘোষ বলেছেন, রাজ্যের হাতে পর্যাপ্ত টাকা নেই তাই ডিএ ডিচ্ছে না রাজ্য। পাশাপাশি তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের টাকা আটকে রেখেছে । রাজ্যের প্রাপ্য টাকা কেন্দ্র দিয়ে দিক তাহলে রাজ্যও ডিএ দিয়ে দেবে। 

DA verdict: ডিএ নিয়ে হাইকোর্টের রায়ে হতাশ তৃণমূল, পাল্টা তোপ বিজেপির

ডিএ মামলায় রাজ্যের হার, 'আবেদনের যৌক্তিকতা নেই '- বলল কলকাতা হাইকোর্ট

DA CASE: ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে রাজ্য সরকার, পুরনো রায় বহাল রাখল হাইকোর্ট