সংক্ষিপ্ত
রতন টাটাকে অফিসের কাজে নিয়মিত সাহায্য করতেন শান্তনু নাইডু। সেই সঙ্গে রতন টাটার সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাক্টিভ থাকার কারণও শান্তনু
প্রয়াত রতন টাটা। তাঁর মৃত্যুতে টাটা অফিসের জেনারেল ম্যানেজার শান্তনু নাইডু শোক প্রকাশ করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি ছিলেন রতন টাটার সর্বক্ষণের সহযোগী। তিনি রতন টাটাকে 'লাইট হাউস' বা 'বাতিঘর' হিসেবে অভিহিত করেছেন। বুধবার গভীর রাতে ৮৬ বছর বয়সী শিল্পপতি রতন টাটার মৃত্যুর পরই এই পোস্টটি করেন শান্তনু নায়ডু।
কর্ণেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ও গুডফেলোস স্টার্টআপের প্রতিষ্ঠাতা শান্তনু নাইডু লিঙ্কডিনে পোস্ট করেন। তিনি বলেন, 'এই বন্ধুত্ব এখন আমার সঙ্গে ছেদ হয়ে গেছে। আমি আমার বাকি জীবন দিয়ে বন্ধুকে মপে রাখব। দুঃখ হল মূল্য ভালবাসার মূল্য দিতে হয়।' ২৮ বছরের শান্তনু টটা গ্রুপের কর্মরত পঞ্চম প্রজন্ম। নাউডু সকালে রতন টাটার মৃত্যুর খবর পেয়েই ইয়েজদি মোটরসাইলে চড়েই রতন টাটার বাসভবনে আসেন। রতন টাটার মৃতদেহ বহনকারী ট্রাকেরও নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। একটি শারমেয়কে কেন্দ্র করে দুই জনের মধ্যে একটি সুন্দর সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল।
রতন টাটাকে অফিসের কাজে নিয়মিত সাহায্য করতেন শান্তনু নাইডু। সেই সঙ্গে রতন টাটার সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাক্টিভ থাকার কারণও শান্তনু। ফেসবুক থেকে ইনস্টাগ্রাম সবেতেই রতন টাটাকে সড়গড় করেছিলেন শান্তনু। ২০১৪ সাল থেকেই তাঁদের পরিচয়। একটি কুকুরকে চাপা পড়া থেকে রক্ষা করা নিয়ে তাদের মধ্যে আলাপ হয়। তারপরই রতন টাটা নিজের থেকেই শান্তনুকে তাঁর সঙ্গে কাজ করার জন্য আমন্ত্রণ জানান।
পুনের বাসিন্দা শান্তু নাইডু। পুণে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিয়ানিং পড়েছেন। টাটাদের পরিবারের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ ছিল। মোটোপজ’ নামের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও তৈরি করেন।টাটার নিউজলেটারে জায়গা করে নেয় ঘটনাটি। যা নজরে পড়ে তৎকালীন চেয়ারম্যান রতন টাটারও।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।