সংক্ষিপ্ত

চেন্নাইয়ের এই বাড়িতেই বাবা-মায়ের সঙ্গে সুন্দরলাল পিচাইয়ের বেড়ে ওঠা। নতুন মালিকের হাতে কাগজপত্র সঁপে দেওয়ার আগে আবেগান্বিত হয়ে পড়লেন তাঁর বাবা। 

গুগলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (CEO) পদে রয়েছেন ভারতীয় প্রযুক্তি নির্বাহক সুন্দরলাল পিচাই বা সুন্দর পিচাই। ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের প্রধান শহর চেন্নাইয়ে ছোটবেলা থেকে তাঁর বেড়ে ওঠা। সেই পৈতৃক বাড়িটি এখনও রয়েছে এই শহরের অশোক নগর এলাকায়। সম্প্রতি এই বাড়িটি বিক্রি হয়ে গেল নতুন মালিকের হাতে। বাড়ি বিক্রি হয়ে যাওয়ার সময় আবেগে একেবারে ভেঙে পড়লেন সুন্দরের বাবা রঘুনাথ পিচাই।

তামিল সিনেমার অভিনেতা এবং প্রযোজক সি মণিকন্দন কিনে নিলেন গুগলের সিইও সুন্দর পিচাইয়ের পৈতৃক বাড়িটি। সূত্রের খবর, মি. মণিকন্দন একটি বাড়ি কেনার জন্য অনেকদিন থেকে খোঁজে ছিলেন। যে মুহূর্তে তিনি জানতে পারেন যে, সুন্দর পিচাইয়ের জন্ম ও বেড়ে ওঠার বাড়িটি বিক্রির জন্য উপলব্ধ রয়েছে, সেই মুহূর্তেই সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেটি কিনে নেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেন।

সংবাদমাধ্যমের কাছে সি মণিকন্দন বলেছেন, “সুন্দর পিচাই আমাদের দেশকে গর্বিত করেছেন এবং তিনি যেখানে থাকতেন, সেই বাড়িটি কেনা আমার জীবনের একটি গর্বিত অর্জন।”

মি. মণিকন্দন একজন রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার। সারা জীবনে তিনি প্রায় ৩০০ টি বাড়ি তৈরি করেছেন এবং বিতরণ করেছেন। তাঁর কথায়, গুগল সিইও-র বাবামায়ের ভদ্র ব্যবহার তাঁকে মুগ্ধ করেছে।

“সুন্দরের মা নিজে হাতে আমার জন্য ফিল্টার কফি তৈরি করেছিলেন এবং তাঁর বাবা প্রথম সাক্ষাতেই আমাকে বাড়ির নথিপত্রগুলি অফার করেছিলেন। আমি তাদের ভদ্র ব্যবহার এবং নম্র দৃষ্টিভঙ্গিতে মুগ্ধ হয়েছিলাম। আসলে, তাঁর বাবা রেজিস্ট্রেশন অফিসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করেছিলেন এবং আমার কাছে নথিগুলো হস্তান্তরের আগে প্রয়োজনীয় সব কর পরিশোধ করেছিলেন।”

এরপরেই মণিকন্দন বলেন, “সুন্দরের বাবা নথিপত্রগুলি হস্তান্তর করার সময় কয়েক মিনিটের জন্য ভেঙে পড়েছিলেন। কারণ, এটাই ছিল তাঁর জীবনের প্রথম সম্পত্তি।”

সুন্দরলাল পিচাই চেন্নাই শহরে বেড়ে উঠেছিলেন। তিনি ১৯৮৯ সালে ধাতব প্রকৌশল নিয়ে পড়ার জন্য আইআইটি খড়গপুরে যোগ দিতে চলে যান। তাঁর বাড়ি বিক্রি হয়ে যাওয়ার পর স্মৃতিচারণা করেছেন তাঁর প্রতিবেশীও। তাঁদের কথায়, সুন্দরলাল ২০ বছর বয়স পর্যন্ত এই বাড়িতেই ছিলেন। গত ডিসেম্বর মাসে গুগলের সিইও সুন্দর যখন ডিসেম্বরে চেন্নাইয়ে এসেছিলেন, তখন তিনি নিজের নিরাপত্তারক্ষীদের কিছু নগদ টাকা এবং গৃহস্থালি সামগ্রী দিয়েছিলেন। তাঁর প্রতিবেশীর এখনও মনে পড়ে, “এই বারান্দায় দাঁড়িয়ে ও ওর পরিবারের মানুষদের সাথে ছবিও তুলেছিল।”

আরও পড়ুন-
‘যদি হও সুজন, একই ছাতায় দুজন’, ঋষি সুনকের ভালোবাসার ছবি মনে করাচ্ছে বারাক ওবামাকে

ইমেলে ‘XX’ লেখা মানে চুমু পাঠানো? নিজের বসের বিরুদ্ধেই কেস ঠুকে দিলেন মহিলা কর্মী

২০০০ টাকার ওপর ফের ‘নোটবন্দি’, কবে থেকে কীভাবে বদল করতে পারবেন বাতিল হওয়া নোট?