সংক্ষিপ্ত
আর্থিক সাহায্য না পেলে আত্মহত্যারও হুমকি দিয়েছেন তিনি। তবে এখনও পর্যন্ত হোটেল মালিকদের ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু ঘোষণা করা হয়নি।
ক্রমেই আরও ভয়াবহ হচ্ছে যশীমঠের পরিস্থিতি। একের পর এক বিপজ্জনক বাড়িগুলিকে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে দেড় লক্ষ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণের কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। তবে অন্যদিকে বিপজ্জনক বাড়ির তালিকায় রয়েছে এলাকার পাঁচতারা হোটেল ‘মালারি ইন'। এই ঘটনায় চরম বিপদে পড়েছেন হোটের মালিক ঠাকুর সিং রানা। উপযুক্ত আর্থিক সাহায্য না পেলে আত্মহত্যারও হুমকি দিয়েছেন তিনি। তবে এখনও পর্যন্ত হোটেল মালিকদের ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু ঘোষণা করা হয়নি।
মঙ্গলবার রাত থেকে ফের নতুন করে ফাটল দেখা দিয়েছে গান্ধীনগর ও পালিকা মাড়োয়ারি এলাকা। গান্ধীনগরের ১৩৪ টি ও পালিকা মাড়োয়ারির ৩৭টি বাড়ি রয়েছে বিপজ্জনক বাড়ির তালিকায়। এছাড়াও নিম্নবাজারে ৩৪টি, সিংহধরে ৮৮টি, মনোহরবাগে ১১২টি, আপার বাজারে ৪০টি, সুনীল গ্রামে ৬৪টি, পারাসারিতে ৫৫টি ও রবিগ্রামে ১৬১টি বাড়িকে বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
ইতিমধ্যেই যোশীমঠের ২০০টি বাড়িতে টাকা চিহ্নিত হয়েছিল। কারণ এই বাড়িগুলি যে কোনও সময়ই ভেঙে যেতে পারে। সংশ্লিষ্টবাড়িগুলি বাসের অযোগ্য বলেও জানিয়েছেন তিনি। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে আগামী ৬ মাসের জন্য প্রতিটি ঘরছাড়া পরিবারকে ৪ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার ৬ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত বদ্রীনাথ ও হেমকুণ্ড সাহিব যাওরা পথেই পড়ে যোশীমঠ। এই শহর উচ্চ - ঝুঁকিপূর্ণ 'Zone-V' পড়ে। সিসমিক হ্যাজার্ড জোন নামেও এটি পরিচিত। কারণ এখানেই রয়েছে বিপদের স্তর। কারণ এটি ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা।
আরও পড়ুন -
ডুবন্ত যোশীমঠে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে দুটি বড় হোটেল, বিশেষজ্ঞদের নির্দেশে তৈরি ব্লু প্রিন্ট
‘ডেঞ্জার জ়োন’-এর বাড়ি না ভাঙলে আরও বিপদে পড়বে জোশীমঠ, জোরকদমে চলছে বাড়ি ভাঙার কাজ
গুজ্জর কাঁটা উপড়ে ফেলতে আসরে খোদ মোদী, বিধানসভা নির্বাচনের সুর বাঁধতে চলতি মাসেই রাজস্থান সফর