সংক্ষিপ্ত

ব্লক করা অ্যাপস্‌, ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের বিষয়বস্তুতে সাম্প্রদায়িক বৈষম্য এবং বিচ্ছিন্নতাবাদকে উস্কে দেওয়ার আশঙ্কা ছিল। এমনকি, দেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা রক্ষা, দেশের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলার জন্য তা  বিপজ্জনক বলে প্রমাণিত হয়েছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক (Ministry of Information and Broadcasting) শিখস্‌ ফর জাস্টিস (Sikhs For Justice) - এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, এমন  বিদেশি ‘পাঞ্জাব পলিটিক্স টিভি’র অ্যাপ, ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলিকে (Apps, website and social media accounts) ব্লক (banned) করার নির্দেশ দিয়েছে। ১৯৬৭ সালের বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন – এর আওতায় এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের উপর ভিত্তি করে জানা গেছে, এই চ্যানেলটি অনলাইন মিডিয়ার মাধ্যমে চলতি রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের সময় আইন-শৃঙ্খলা  ক্ষেত্রে বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করছিল। এর প্রেক্ষিতে মন্ত্রক ১৮ই ফেব্রুয়ারি তথ্য প্রযুক্তি আইনের আওতায় জরুরি-ভিত্তিতে ক্ষমতা ব্যবহার করে ‘পাঞ্জাব পলিটিক্স টিভি’র ডিজিটাল মিডিয়াগুলিকে ব্লক করে। 

ব্লক করা অ্যাপস্‌, ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের বিষয়বস্তুতে সাম্প্রদায়িক বৈষম্য এবং বিচ্ছিন্নতাবাদকে উস্কে দেওয়ার আশঙ্কা ছিল। এমনকি, দেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা রক্ষা, দেশের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলার জন্য তা  বিপজ্জনক বলে প্রমাণিত হয়েছে। এও লক্ষ্য করা গেছে যে, চলতি নির্বাচনের সময় অনৈতিক সুবিধা নেবার  জন্য নতুন অ্যাপ ও সোশ্যাল মিডিয়া চালু করা হয়।কেন্দ্রীয় সরকার দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা  রক্ষার্থে এবং সামগ্রিক তথ্যের পরিবেশ সুরক্ষিত করতে সজাগ ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 

কেন্দ্রীয় সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, প্রশাসন লক্ষ্য করেছে, নির্বাচনের সময় জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য নতুন অ্যাপ ও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট চালু করা হয়েছিল। 


প্রাক্তন আম আদমি পার্টির নেতা কুমার বিশ্বাস দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে খালিস্তানিপন্থীদের সমর্থক এই অভিযোগ তুলেছিলেন। যা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রবলভাবে সাহাস্য করেছিল বলে অভিযোগ। যা নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনাও তৈরি হয়েছিল। 

রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত এই নির্দেশ বলবত থাকবে। ডিজিটাল মাধ্যমে  রাজ্য ও দেশে অশান্তি ছড়ানো বরদাস্ত করা হবে না বলেও মন্ত্রক সূত্রের খবর।