সংক্ষিপ্ত
হিতেন্দ্র যে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন, সেটিকে অশ্লীল ও ভুয়ো ছবি হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
গুজরাটে গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা হিতেন্দ্র পিথাদিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি অযোধ্যার শ্রীরাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত হিসেবে নিযুক্ত মোহিত পাণ্ডের মানহানি করার জন্য তিনি তাঁর একটি আপত্তিকর ছবি প্রচার করে ছিলেন। সেই কারণে গুজরাট পুলিশ গ্রেফতার করেছে কংগ্রেস নেতাকে।
হিতেন্দ্র যে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন, সেটিকে অশ্লীল ও ভুয়ো ছবি হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। অন্যদিকে হিতেন্দ্র ছবিটি শেয়ার করার সময় ক্যাপশনে লিখেছেন, 'এটি কি অযোধ্যার রাম মন্দিরের পুরোহিত হওয়ার জন্য পৃথক প্রচেষ্টা।' পুরোহিতের যে ছবিগুলি শেয়ার করা হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তি কপালে তিলক রয়েছে, চন্দন পরা রয়েছে। এক মহিলার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় রয়েছে। তাদের মধ্যে ঘনিষ্ট সম্পর্কের ছবিও শেয়ার করা হয়েছে।
সাইবার ক্রাইম শাখা হিতেন্দ্র পিথাদিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ নথিভুক্ত করেছে। হিতেন্দ্র গুজরাট কংগ্রেসের এসসি বিভাগের চেয়ারম্যান। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা ছবি তৈরি ও প্রচার করার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে অন্যদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা। সংশ্লিষ্টদের মানহানির চেষ্টা করার অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। সাইবার ক্রাইম ইউনিট অভিযুক্তকে গ্রেফতার কর। পিথিয়ার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৯. ৫০৯, ২৯৫এ ও তথ্য প্রযুক্তি আইনের অধীন মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী যে মহিলা ও পুরুষের ছবি জাল করে রাম মন্দিরের পুরোহিতকে অপমান করা হয়েছে সেই দম্পতির প্রচুর ভিডিও পর্নগ্রাফিক ওয়েবসাইটে পাওয়া গেছে। ভিডিওটিতে জড়িয়ে রয়েছে একজন তেলেগু পুরোহিত। ভিডিওর পুরুষও মন্দিরের পুরোহিত নয়।
মোহিত পাণ্ডে-
অযোধ্যার শ্রীরাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে মোহিত পাণ্ডকে। তিনি দুধেশ্বরনাথ বেদবিদ্য পীঠের ছাত্র। রামমন্দিরের পুরোহিত হওয়ার জন্য ৩০০০ জনের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে মোহিত-সহ ২০ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। সমস্ত নির্বাচিত পুরোহিতকে দায়িত্ব বিলির আগে তাদের ৬ মাস ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। অনেকেই মনে করছেন পর্নগ্রাফিক ভিডিও থেকে কারিগুরি করে মোহিত পাণ্ডেকে হেনস্থা করার চেষ্টা করা হয়েছিল।