সংক্ষিপ্ত

জামনদর কেন্দ্রের জাদেজা সম্প্রদায়ের ভোট নিশ্চিত করতে রিভাবা জাদেজাকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। ছেঁটে ফেলেছে আগের বিধায়ককে। কিন্তু স্ত্রীর সামনে লক্ষ্মণরেখা টেনে দাঁড়িয়ে বোন।

 

ধীরে ধীরে জমে উঠেছে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন। বিশেষ করে জামনগড় বিধানসভা কেন্দ্রের লড়াই- কারণ এখানে কংগ্রেস বনাম বিজেপির লড়াই যত বেশি তার থেকেও অনেক বেশি ভারতীয় দলের ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাদেজার পরিবারের লড়াই। তবে পারিবারিক লড়াই এখান ছাপিয়ে যাচ্ছে ননদ-বৌদির কুটকাচালিতে। জামনগর কেন্দ্রে বিজেপি বর্তমান বিধায়ক ধর্মেন্দ্র জাদেজাকে ছেঁটে ফেলেছে। তাঁর পরিবর্তে টিকিট দিয়েছে রবীন্দ্র জাদেজার স্ত্রী রিভাবাকে। দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখতেই বিজেপির এই পদক্ষেপ বলে সূত্রের খবর। কিন্তু বিজেপির এই যে হিতেবিপরীত হয়ে যাবে তা আর কে জানত!

রবীন্দ্র জাদেজার স্ত্রী রিভাবা আগেই বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি গেরুয়া শিবিরের সক্রিয় সদস্য। এলাকায় প্রথম সারির নেত্রী তিনি। আর সেই কারণে দলীয় প্রার্থীর জয় সুনিশ্চিত করতেই বিজেপি ধর্মেন্দ্রকে ছেঁটে ফেলে টিকিট দিয়েছিল রিভাবাকে। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করেছিল এই এলাকায় রিভাবার হাত ধরে জয় প্রায় নিশ্চিত। পথের কাঁটা হিসেবে রিভাবার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে তাঁরই ননদ নয়নবা। যিনি রবীন্দ্র জাদেজার বোন।

মহিলা প্রার্থী দিয়ে বিজেপি জামনগর কেন্দ্রে জয় পেতে চেয়েছিল। কিন্তু তা হতে দিচ্ছে না রবীন্দ্র জাদেজার বোন নয়নবা। নয়নবা কংগ্রেসের কর্মী। বাবাকে নিয়ে আগেই যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেসের। রিভাবাকে আঠকে কংগ্রেসের তুরুপের তাস নয়নবা। রিভাবার বিরুদ্ধে প্রচারে নয়নবাকে নামিয়েছে কংগ্রেস। নয়নবা শুধু যে প্রচার করছে এমনটা নয় রিভাবার বিরুদ্ধে রীতিমত বিষ ঢালতে শুরু করেছে জামনগরের বাসিন্দাদের মনে। এই এলাকায় কংগ্রেসের প্রার্থী বিপেন্দ্র সিং জাদেজা।

নয়নবা আর রিভাবার পরিবারের মধ্যে সুসম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু ভোট বড় বালাই। তাই ভোটের ময়দানেই ননদ-বৌদির কুটকচালি শুরু হয়ে গেছে। নয়নবা জামনগড় এলাকার মহিলা কংগ্রেস মোর্চার প্রথম সারির নেত্রী। বিজেপি টিকিট বিলি করার আগেই এই এলাকায় প্রার্থী হিসেবে রিভাবার নাম ঘোরাফেরা করছিল। সেই সময়ই নয়নবা বলেছিলেন ধর্মেন্দ্র সিং একজন শক্তিশালী নেতা। দল যদি তাঁকে বঞ্চিত করে অন্য কাউকে টিকিট দেয় তাহলে সে হেরে যাবে। কারণ এলাকায় প্রতিপত্তি রয়েছে ধর্মেন্দ্রর। আর টিকিট দেওয়ার পরেই আসনে নেমেছে নয়নবা। যদিও ধর্মেন্দ্র একটা সময় কংগ্রেসের বিধায়ক ছিলেন। পরে দল বদল করে বিজেপিতে এসেছেন আর জিতেছেন। কিন্তু নয়নবা তাঁকেই এগিয়ে রেখেছে নিজের ভাইয়ের বৌ-এর তুলনায়। নয়নবা বলছেন, বিজেপি রিভাবার মত দুর্বল প্রার্থীকে মাঠে নামিয়েছে। কারণ রিভাবার রাজনৈতিক মতামত খুব একটা জোরালো নয়। কংগ্রেসের যে কোনও প্রার্থী তাকে হারিয়ে দিতে পারবে।

১৮২ আসনের গুজরাট বিধানসভায় গত নির্বাচনেও একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে রয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দখলে ১১১টি আসন। বিরোধীদের দখলে রয়েছে মাত্র ৬৭টি আসন। যারমধ্যে কংগ্রেসের দখলে ৬৫ বিধায়ক রয়েছে। এনসিপি ও আইএনডি-র ১টি করে আসন রয়েছে। আর বিটিপির দখলে রয়েছে ২টি আসন। বিধানসভায় খালি রয়েছে ২টি আসন। দুই দফায় হবে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন। ১ ও ৫ ডিসেম্বর হবে ভোট গ্রহণ। ফল প্রকাশ ৮ ডিসেম্বর হিমাচল প্রদেশের সঙ্গে।

আরও পড়ুনঃ

নবি মহম্মদ নিয়ে অশালীন মন্তব্য, ছাত্রকে মারধর করে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ একটি দলের বিরুদ্ধে

ঘুমে অচৈতন্য ৯ বছরের শিশুকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ, প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে সংকটজনক নির্যাতিতা

মৃত বাবাকে ফেরাতে ২ মাসের ছেলেকে নরবলির ছক! দিল্লি পুলিশের তৎপরতায় গ্রেফতার মহিলা