সংক্ষিপ্ত
বাড়িতে নতুন আসা জামাইকে শ্বশুর এবং শাশুড়ির ‘উষ্ণ অভ্যর্থনা’। অভ্যর্থনাটি এতটাই ‘উষ্ণ’ যে, নতুন বরের জন্য শ্বশুরকে জ্বালাতে হল দেশলাই কাঠি।
ভারত একটি বৈচিত্রময় সংস্কৃতির এবং ঐতিহ্যের দেশ, যেখানে যুগ যুগ ধরে এই সংস্কৃতিগুলি বয়ে নিয়ে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে। ভারতের আনাচাকানাচে বিবিধ অনুষ্ঠানের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ধরণের ঐতিহ্য রয়েছে।
তেমনই একটি অচেনা ঐতিহ্য হল, বাড়িতে নতুন আসা জামাইকে শ্বশুর এবং শাশুড়ির ‘উষ্ণ অভ্যর্থনা’। অভ্যর্থনাটি এতটাই ‘উষ্ণ’, যে নতুন বরের জন্য শ্বশুরকে জ্বালাতে হল দেশলাই কাঠি। ইদানিং সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োটি দেখে নেটিজেনদের চক্ষু চড়কগাছ। তবে, এটুকুতেই শেষ নয়। শ্বশুরের সাথে এই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে শাশুড়িকেও। তাঁর ভূমিকা কী?
দেখা যাচ্ছে, নতুন জামাই বিয়ের পোশাকে বাড়িতে পা রাখতেই তাঁর মুখে আদর করে সিগারেট গুঁজে দিচ্ছেন শাশুড়ি। তারপর, দেশলাই কাঠি জ্বেলে জামাইয়ের ঠোঁটে ধরা সিগারেটটি জ্বালিয়ে দিচ্ছেন শ্বশুরমশাই।
ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা ভিডিয়োটিতে দেখা গেছে, নতুন বর বসে আছেন সোফার ওপরে। যদিও, শাশুড়ি তাঁর মুখে সিগারেট দেওয়ার পর শ্বশুর সেটা জ্বালিয়ে দিলেও সর্বশেষে বরবাবাজি মোটেই ধূমপান করেন না, কারণ পরে শ্বশুরমশাই তার মুখ থেকে সিগারেটটি ফেরত নিয়ে নেন।
যদিও এই ভিডিয়োর প্রসঙ্গে অনেকে বলেছেন যে, এটি একটি প্রাচীন ঐতিহ্য। পুরনো রীতি মেনেই এই কাজ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও অনেকের মন্তব্য, এই ধরনের আচারগুলি অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।
রীতি অনুযায়ী নতুন বর শ্বশুর এবং শাশুড়ির হাতে কিছু টাকা তুলে দেন। এখন, ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়ে গেলেও ঘটনার সঠিক অবস্থান তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তবে অনেকে উল্লেখ করেছেন যে অনুষ্ঠানটি গুজরাটের।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “ভালো কথায় বলছি, হিন্দু আচার-অনুষ্ঠান মেনে বিয়ে করলে নিজের সংস্কার ভুলে যাবেন না দয়া করে। বেশি ‘ট্রেন্ডি’ হতে চাইলে দয়া করে হিন্দু সংস্কৃতি ব্যবহার করবেন না।" অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “এটি সম্পূর্ণ ফালতু জিনিস। ধূমপানের কারণে ক্যান্সার হয় এবং শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় মনোযোগ আকর্ষণের জন্য তাঁরা এটা করেছেন।”
যাইহোক, অনেকেই উল্লেখ করেছেন যে, ভারতের অন্যান্য অঞ্চলেও এই ঐতিহ্য অনুসরণ করা হয়। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “এটা ওড়িশার পুরানো ঐতিহ্য।” আরেকজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “হ্যাঁ। বিহারে আমরা বরের পরিবারের সদস্যদের পান, সিগারেট দিয়ে থাকি।"
অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “এটি দক্ষিণ গুজরাতের কিছু গ্রামে অনুসৃত একটি পুরনো ঐতিহ্য। এমনকি তিনি ধূমপানও করেন না। ভিডিওতে আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে, তাঁরা এটিতে বেশি জোর দেননি, শুধু ‘রসম’-এর (নিয়ম) জন্য তাঁরা কাজটি করেছেন । কেবল হাসুন এবং এটিকে উপেক্ষা করুন। এতে বিরক্ত হওয়ার দরকার নেই।”
আরও পড়ুন-
আধার কার্ড সংশোধন করতে একেকজনের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে পাঁচশো টাকা, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ দক্ষিণ ২৪ পরগণায়
আদিবাসী সম্প্রদায়ের উন্নতিতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ‘শ্রী অন্ন’-এ প্রাধান্য, ‘আদি মহোৎসব’-এর সূচনায় বক্তব্য রাখলেন বৃহস্পতিবার
Tripura Election News: ভোট দিতে এলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, ভোটে সামিল তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরাও