সংক্ষিপ্ত

দাঙ্গার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি হলদওয়ানির বুনভুলপুরায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেখা মাত্রই গুলির নির্দেশ দিয়েছে।

 

অবৈধ মাদ্রাসা ভেঙে ফেলা করে দেওয়ার পর থেকেই উত্তপ্ত উত্তরাখণ্ডের হলদওয়ানি। বৃহস্পতিবার সরকারি কর্মকর্তরা একটি অবৈধ মাদ্রাসা ধ্বংস করে দেয়। তারপরই ক্ষেপে ওঠে স্থানীয় একদল মানুষ। দুবৃত্তরা সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসরদের লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ে। পুলিশের গাড়ি -সহ একাধিক গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। তারপরই দুই পক্ষের সংঘর্ষের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। গোটা এলাকা রক্ষণের চেহারা নেয়। দাঙ্গার পরিস্থিতি তৈরি হয়।

দাঙ্গার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি হলদওয়ানির বুনভুলপুরায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেখা মাত্রই গুলির নির্দেশ দিয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত, হলদওয়ানির পৌর কর্পোরেশনের আধিকারিকরা এদিন বনভুলপুরা থানার কাছে একটি বেআইনিভাবে তৈরি হওয়া মাদ্রাসা ভেঙে ফেলার কাজ করছিলেন। উপস্থিত ছিল স্থানীয় প্রশানের সদস্য ও পুলিশ কর্মীরা। বেআইনি মাদ্রাসা ধ্বংসের সময় থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা এলাকায়। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় এক পক্ষ সরকারি আধিকারিকদের লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করেয যার ফলে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা আহত হয়েছে। এই এলাকায় পুলিশের গাড়ি-সহ বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া উত্তেজিত জনতা। একটি ট্রান্সফরমারেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার কারণে বিপর্যন্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা।

স্থানীয় একদল মানুষ বনভুলপুর থানা ঘেরাও করে। আটবে পড়ে পুলিশ কর্মীরাও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য হলদওয়ানিতে অতিরিক্ত বাহিনী তলব করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। বনভুলপুরায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।

ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে হলদওয়ানি দাঙ্গার বেশ কিছু ভিডিও। দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু স্থানে অগ্নিগর্ভ পরিবেশ। পুলিশের আক্রান্ত হওয়ার ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে।